শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজ। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৭০০ কোটি টাকার কিছু কম খরচে স্টেডিয়ামটি নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
২০১৯ সালে ঢাকার পূর্বাচলে একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেয় বিসিবি। কিন্তু করোনার প্রকোপসহ নানা কারণে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় এর কার্যক্রম। গত বছর জুলাইয়ে কাজ শুরুর ঘোষণা দিলেও ফের ঝুলে পড়ে তা। তবে আশার কথা শুনিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, আউটডোর ফিল্ড, প্র্যাকটিস ফিল্ড হবে। দুটোকেই আমরা প্রস্তুত করা শুরু করব। মাঠের যে পানি নিষ্কাশণ ব্যবস্থা, বর্ষার আগে সেটিও আমরা সেরে ফেলতে চাই। এখনও যদি আমরা উইকেট তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী বছরের ক্রিকেট মৌসুমে খেলা সম্ভব হবে। উইকেট আর আউটফিল্ড তৈরি হয়ে গেলে বাকি কাজগুলো খেলা চালিয়েও করা সম্ভব হবে। বিশ্বের অনেক জায়গায় স্টেডিয়ামের রিডেভেলপমেন্ট হয়, সেখানে খেলা চলা অবস্থায় মাঠের বাইরের কাজগুলো চলমান থাকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে বিসিবি।
স্বাভাবিকভাবেই খরচটা বেশি হওয়ার কথা। সুর্নির্দিষ্ট কোনো অঙ্কের কথা জানাতে না পারলেও বিসিবির এই পরিচালক বলেন ৭০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণে। এত ব্যয় কেন এর ব্যাখ্যায় বিসিবির এই পরিচালক বলেন, এখানে কেবল মাঠই নয়, আমাদের একাডেমি ভবন হচ্ছে, বিসিবির একটা নিজস্ব ভবন হচ্ছে। একটা হোটেলের জায়গা ড্রয়িং করা অবস্থায় থাকবে, পরে আমরা এটা কনস্ট্রাকশনে যাব।
এছাড়া ক্রিকেটার্স ক্লাব, তার সঙ্গে একাডেমি ও একটা অ্যাডিশনাল মাঠ হচ্ছে। তার বাইরেও আমরা ৫ ফেডারেশনকে স্থাপনা দিচ্ছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) অনুরোধ করেছে আমাদের যে, তাদের এখানে সংকুলান করা যায় কি না। সে কারণে আমরা ৫টা ফেডারেশনকে এখানে সংকুলান এবং তাদের ঢোকা ও বাইরের জায়গাটাও আমরা আলাদাভাবে করে দিচ্ছি। যাতে আমাদের কারও কোনও কাজে বিঘ্ন না ঘটে।
ট্যাক্স মওকুফের বিষয়ে মাহবুব আনাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। সে আবেদন এখন তাদের বিবেচনাধীন আছে। আশা করছি এ বিষয়ে সহায়তা পাব। শেখ হাসিনা মাঠের জন্য স্পন্সরশিপ নিলেও কখনো এর নাম পাল্টানো হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র এই পরিচালক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নামে এই স্টেডিয়ামটা আমরা উৎসর্গ করেছি। যে সহযোগিতা বা অনুদান আমাদের এই স্টেডিয়ামের জন্য তিনি করেছেন, সেটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। সুতরাং স্টেডিয়ামের নামকরণে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। হয়তো ভেতরের বাণিজ্যিক বিষয়গুলো থাকে, সেখানে হবে। কিন্তু নামকরণের বিষয়ে আমরা অনড়।