সফরকারী ইংল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস চ্যানেল।
২০১২ সালে সর্বশেষ ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৪ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে ওই সিরিজের পর থেকেই ওয়ানডে ফরম্যাটে উন্নতি করা শুরু করে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে নিয়মিত ম্যাচ জয়ের ধারা শুরু করার পাশাপাশি ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে ২০১৬ সালে মাত্র ১টি সিরিজ হারে টাইগাররা। কাকতালীয়ভাবে আবারও ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ। এতে ঘরের মাঠে সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর অবশেষে হারল টাইগাররা।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার অভ্যাস থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনারদের দারুণভাবে সামলে ৩ উইকেটের জয় পায় ইংলিশরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩২ রানের বড় জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড।
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের ভেন্যু বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কে রূপ নিয়েছে, বিশেষভাবে মন্থর পিচের কারণে। মাত্র তিন মাস আগে এই ভেন্যুতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ২২৭ রানে ম্যাচ হারে তারা। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিলো ভারত। জবাবে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিং পিচে সুবিধা নিয়ে ইংল্যান্ড কি করতে পারে সেটি মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রমাণ করেছে। এজন্য চট্টগ্রামের উইকেট একই রকম হলেও বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের এড়ানোর সুযোগ ক্ষীণ হয়ে যাবে।
তৃতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলেন, পরাজিত দলের অংশ হওয়া সুখকর হবে না কিন্তু এটিই ম্যাচেরই অংশ। আমরা শক্তিশালী দল হিসেবে ঘুড়ে দাঁড়াতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। এই ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ভালো করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের একাদশে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুুদল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, তাইজুল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়।
ইংল্যান্ড
জস বাটলার (অধিনায়ক), রেহান আহমেদ, মঈন আলী, জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, সাকিব মাহমুদ, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ফিল সল্ট, রেসি টপলি, জেমস ভিন্স, ক্রিস ওকস, মার্ক উড।