একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ইয়াসির আলি রাব্বি এবং এবাদত হোসেনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মুমিনুল হক এবং তাসকিন আহমেদ। সবশেষ জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন মুমিনুল। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রথম টেস্টে জায়গায় পেলেও লম্বা সময় অফ ফর্মে থাকার কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাদ পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও জায়গা মেলেনি বাংলাদেশের অধিনায়কের। তবে ঢাকা টেস্টে রাব্বির জায়গায় ফেরানো হয়েছে রানখরায় ভুগতে থাকা মুমিনুলকে। এদিকে চোট থেকে পুরোদমে সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন না তাসকিন। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ফিরেছেন ডানহাতি এই পেসার।
২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে টেস্ট দলে অভিষেক হলেও জাতীয় দলে থিতু হতে পারেননি জয়দেব উনাদকাট। এরপর ভারত ১১৮ টেস্ট খেললেও একাদশে ফেরা হয়নি বাঁহাতি এই পেসারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করার পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ সফরে ডাক পেয়েছেন উনাদকাট।
ঢাকা টেস্টের একাদশে রয়েছেন কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে। এদিকে এক টানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ টেস্ট মিস করে একাদশে ফেরার রেকর্ড গড়েছেন উনাদকাট। সবচেয়ে বেশি ১৪২ টেস্ট মিস করে একাদশে ফেরার কীর্তি রয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার গ্যারেথ ব্যাটির।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে ভারতের কাছে ১৮৮ রানে হেরে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ফিরতে ঢাকা টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানের দলের। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
বাংলাদেশ: জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদ।
ভারত: লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পান্ত, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জয়দেব উনাদকাট, উমেশ যাদব এবং মোহাম্মদ সিরাজ।