টি--টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটের হার কোনও ভাবেই মানতে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তার জেরে ক্রিকেটার বা কোচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও বোর্ডের খড়্গ নেমে এল নির্বাচক কমিটির উপর। নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা-সহ তার গোটা কমিটিকে ছেঁটে ফেলল বোর্ড। এমনটাই খবর একাধিক সংবাদসংস্থা সূত্রে।
নির্বাচক প্রধান হিসেবে চেতন শর্মার কাজ পছন্দ না হওয়ার একাধিক কারণ বোর্ড কর্তারা দেখাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে পারেননি তিনি। বহু ক্রিকেটার তার সময়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এদের বেশিরভাগই নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ায় নিজেদের জায়গা পাকা করে উঠতে পারেননি। বড্ড বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে ভারতীয় দলে এখন অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টের সমস্যা। বার বার ক্রিকেটারদের চোট, কাউকে বাদ দেওয়া হলে তাকে নিয়ে অস্পষ্টতা, ইত্যাদি বহু অভিযোগ রয়েছে চেতনের বিরুদ্ধে। সে কারণেই চেতনকে ছেঁটে ফেলার কথা ভাবা হচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।
বিসিসিআই থেকে সৌরভ গাঙ্গুলি বিদায়ের পরই ভারতীয় দলের নির্বাচকপ্রধান চেতন শর্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার পর চেতনের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার বিসিসিআই সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, দলের ব্যর্থতার দায় কি শুধুই নির্বাচকদের উপর বর্তায়? নির্বাচকদের চাকরি গেলে তো টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরও আঙুল ওঠা উচিত।
আসলে চেতনের গোটা কার্যকালটাই বিতর্কে ঘেরা। বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পাশাপাশি তার আমলেই বিরাট কোহলির সঙ্গে বোর্ডের সম্পর্কে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। সে সময় নির্বাচক প্রধান হিসেবে চেতনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। আবার অভিযোগ উঠেছিল, তার আমলে নির্বাচক কমিটির বৈঠকে নাকি বোর্ড সভাপতি হস্তক্ষেপ করেন। যদিও পরে সৌরভ নিজে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন। তাতেও বিতর্ক থামেনি।