লিটন দাস-সাকিব আল হাসান দুজনে মিলে এনে দিয়েছিলেন লড়াকু পুঁজি। কিন্তু বোলাররা কাজের কাজটা করতে পারলেন না। তাই তো সান্ত্বনার জয়ও দিল না ধরা। বোলিং ব্যর্থতায় টাইগাররা ৭ উইকেটে হার মানল পাকিস্তানের কাছে। পাকিস্তান জেতে এক বল হাতে রেখেই।
ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচের সবগুলো হেরে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে।
ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ক্যাপ্টেন বাবর আজম জোড়া ফিফটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন। আর জয় ছিনিয়ে নেয়ার কাজটা শেষ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
ওপেনার রিজওয়ান ৫৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে হাঁকান ৬৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। বাবর ৪০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ছুঁয়ে ফেলেন ৫৫ রানের দুর্দান্ত স্কোর। নওয়াজ ২০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থেকে যান ৪৫* রানে। তাতেই ১৯.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তুলে ফেলে ১৭৭ রান।
বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দুটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। একটি উইকেট পান সৌম্য সরকার।
তার আগে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে ঝলক দেখান লিটন দাসও। দুজনের দুরন্ত ফিফটিতে ১৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।
সাকিব ৪২ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস। লিটন এনে দেন ৪২ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৯ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে গড়েন ৮৮ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ।
ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ ও আফিফ হোসেন ১১ রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের স্কোর পেয়ে যায় টাইগাররা।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও নাসিম শাহ। একটি উইকেট পান মোহাম্মদ নওয়াজ।