নানার দেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে একেবারেই ব্যর্থ সাইফ হাসান। প্রথম ইনিংসে সাজঘরে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। এবার দ্বিতীয় ইনিংস এ ওপেনারের ব্যাট থেকে এলো মাত্র এক রান। সুরঙ্গা লাকমলের বলে নিরোশান ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এক উইকেটে ৬ ওভার শেষে ২৭ রান তুলেছে টাইগাররা।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর আর ব্যাট হাতে মাঠে নামেনি লঙ্কানরা। ৮ উইকেটে ৬৪৮ রানে থামে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। ১০৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
পঞ্চম দিনের শুরুতেই জোড়া আঘাত করলেন তাসকিন আহমেদ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার পর ডাবল সেঞ্চুরিয়ান করুনারত্নেকেও ফেরালেন এ টাইগার পেসার। তাসকিনের বলে নাজমুল হাসান শান্তর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ওপেনার করুনারত্নে খেলেন ৪৩৭ বলে ২৬ বাউন্ডারিতে ২৪৪ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
তার আগে চতুর্থ দিন বল হাতে বাজে একটি দিন গেছে বাংলাদেশের বোলারদের। একটি উইকেটও পাননি তারা। তবে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হতেই সাফল্য পান তাসকিন আহমেদ। তারকা পেসার ফিরিয়ে দেন সেঞ্চুরিয়ান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯১ বলে ২২ বাউন্ডারিতে ১৬৬ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে গেছেন এ লঙ্কান অলরাউন্ডার। চতুর্থ উইকেটে ৫৫৩ বলে ৩৪৫ রানে ভাঙে করুনারত্নে-ধনাঞ্জয়ার রেকর্ড পার্টনারশিপ। সব মিলিয়ে তাসকিন উইকেট পেলেন ৩টি।
রোববার, ২৫ এপ্রিল সকালে ৩ উইকেটে ৫১২ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। ২৩৪ রান নিয়ে মাঠে নেমে দলের ও ব্যক্তিগত স্কোরে ১০ রান যোগ করেন দিমুথ করুনারত্নে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নতুন দিন শুরু করেন ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি এনে দেন ১২ রান।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল (৯০) দশ রানের জন্য শতক মিস করলেও সেঞ্চুরি হাঁকান নাজমুল হোসেন শান্ত (১৬৩) ও ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক (১২৭)। মুশফিকুর রহিম (৬৮*) ও লিটন দাস (৫০) অর্ধ-শতকের দেখা পান তৃতীয় দিন এসে।