স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। কিছুতেই যেন আউট করা যাচ্ছিল না দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নেকে। দলের ঠিক এমন প্রয়োজনীয় মুহূর্তে উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ৩৪তম ওভারে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লাহিরুর উইকেটটা পেয়ে যেতে পারতেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু রিভিউ না নেওয়ায় পরিষ্কার আউট থাকার পরও উইকেটটি তখন পাননি এ তারকা স্পিনার।
তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলটি আঘাত হানে লাহিরু থিরিমান্নের প্যাডে। আবেদন করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দেননি। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জও করেননি ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি প্যাড মিস করলে আঘাত করত লেগ স্টাম্পে। রিভিউ নিলে প্রথম উইকেটটা তখনই পেয়ে যেত বাংলাদেশ। তিনটি রিভিউ থাকতেও কেন তা নেওয়া হলো না? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে ক্রিকেটাঙ্গনে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নটা উত্থাপন করা হলো তাইজুলের সামনে। রিভিউ না নেওয়ার কারণটা ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, ‘বলটা অনেক বড় টার্ন নিয়েছিল। এজন্য দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ ওই সময়ে রিভিউটা লস করলে সমস্যা হতে পারতো। আর টার্নটা হওয়ায় মনে হয়েছে মিসিং হবে, তাই আর নেওয়া হয়নি।’
ম্যাচের চতুর্থ দিনে সুশৃঙ্খল বোলিং আক্রমণের পরিকল্পনাই করে রেখেছেন তাইজুল, ‘অনেক ভালো উইকেট। আমাদের কালও প্ল্যান থাকবে ফিল্ডিং বেষ্টনী নিয়ে সুশৃঙ্খল উপায়ে বোলিং করা। আমরা জেতার জন্যই খেলব। কিন্তু কোনো সুযোগ যেন আমাদের হাতছাড়া না হয়।’
ম্যাচ জয়ের মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তাই বলে হাল ছেড়ে বসে থাকতে নারাজ তাইজুল। সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয়ের আবহ নিয়ে আসতে চান ম্যাচে, ‘সত্যি বলতে জেতার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। উইকেট স্পিনার বা পেসারদের বিশেষ কোনো সহায়তা করছে না। আমাদের শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে খেলতে হবে। এবং আমরা যদি তা করতে পারি। রান চেক দিতে পারি। সব মিলিয়ে একটু দ্রুত সুযোগ কাজে লাগাতে পারি। তাহলে আমরা জেতার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারব।’
তাসকিন আহমেদ বল হাতে চেনা রূপে ফিরেছেন। দুরন্ত বোলিংয়ে একটি উইকেটও নিয়েছেন। তার বোলিং ছন্দ ফিরে পাওয়া নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘মাশা্আল্লাহ, খুব ভালো বল করেছে। লাইন লেংথ বজায় রেখে থ্রেট বোলিং করেছে। আশা করি কালকেও যেন এই এফোর্টটা দিতে পারে। এফোর্ট দিতে পারলে টিমের জন্য খুব ভালো হবে।’