শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৫৪১ রানের পর্বত চূড়ায় পৌঁছেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে টাইগাররা। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে আকাশ ছোঁয়া ইনিংসে ব্যক্তিগত অনেক রেকর্ডের মাঝে দলীয় অর্জনও যোগ হয়েছে। এই প্রথম বাংলাদেশের এক ইনিংসে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে পাঁচজনই হাফ-সেঞ্চুরি বা তার অধিক রানের ইনিংস খেলেছেন।
তামিম ইকবাল দশ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। তার ৯০ রানের দাপুটে ইনিংসের সঙ্গে ১৬৩ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ক্যাপ্টেন মুমিনুল হকের ১২৭ রানের দুরন্ত ইনিংসের সঙ্গে তৃতীয় দিন সকালে জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি যোগ করে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম ৬৮* রানে অপরাজিত থেকে যান।
সুবাদে তামিমকে পিছনে ফেলে দেশের হয়ে টেস্টে ফের সর্বাধিক রানের মালিক বনে গেলেন মুশফিক। অর্ধ-শতক পূর্ণ করে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস (৫০)। ব্যতিক্রম কেবল সাইফ হাসান। নানার দেশে ব্যাট হাতে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি এ ওপেনার।
তবে এক ইনিংসে সব পজিশন মিলিয়ে পাঁচ হাফ-সেঞ্চুরি বা তার অধিক রানের ইনিংস পেয়েছে বাংলাদেশ এর আগে দুইবার। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে শেরে বাংলায়। ঠিক পাঁচ বছর পর ওয়েলিংটনে একই কীর্তি গড়ে টাইগাররা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু দুর্ভাগ্য! সেই ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ হজম করতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
৫৪১ রান তুলে নতুন রেকর্ডে নাম লিখেছে বাংলাদেশ। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। ২০১৮ সালে ৪৮৭ রানের আগের রেকর্ডটা করে ছিল ভারত।
টাইগাররা খেলেছে ১৭৩ ওভার। এর চেয়ে বেশি ওভার বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র একবার। ২০১৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ১৯৬ ওভার খেলেছিল মুশফিকুর রহিমরা। ইতিহাস গড়া সেই ইনিংসে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩৮ রানের সংগ্রহ গড়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।