অনুপস্থিত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 06:17:55

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অংশ নেন ২৯ জন নেতা। সভায় প্রেসিডিয়ামের সদস্য ৫৪ জন ও প্রেসিডিয়ামের বাইরে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ৮ জনকে ডাকা হয়েছিল।

শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ যৌথ সভা শুরু হয়। জিএম কাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদের সভা ছিল।

সংখ্যাধিক্য সদস্য অনুপস্থিত থাকলেও একে সফল বলে দাবি করেছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি মন্তব্য করেছেন, ৭জন দেশের বাইরে, ২ জন নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। এ কারণে এই সভাকে ফ্লপ বলা যাবে না।

সভায় অনুপস্থিত থাকেন সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ফখরুল ইমাম এমপি, সেলিম ওসমান এমপি, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদসহ অনেক সিনিয়র নেতা।

জাপার যে কোনো অনুষ্ঠান মানেই এই মুখগুলো ছিল কমন। কিন্তু জিএম কাদের’র দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তারা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। যে কারণে ভেতরে ভেতরে একটি নীরব গ্রুপিংয়ের গন্ধ ছড়াচ্ছে। শনিবারের বৈঠকে তাদের অনুপস্থিতি সেই সমালোচনাকেই আরও উস্কে দিল।

সভায় জিএম কাদেরের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, মোঃ আবুল কাশেম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ আজম খান, সোলায়মান আলম শেঠ, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক,আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম সেন্টু।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীরজাদা শাহজাদা আল মনির, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মোঃ মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, কাজী মামুনুর রশিদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, আদেলুর রহমান এমপি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান এমপি।

মুখে সভাকে সফল দাবি করলেও বৈঠকে অনুপস্থিত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়। প্রয়োজনে তাদের ছেটে ফেলে পার্টিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব ওঠে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

বেশ কয়েকজন নেতা বিগত নির্বাচনে দলের নীরব ভূমিকার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। পার্টিতে ঘন ঘন প্রমোশন এবং বহিষ্কার থেকে বিরত থাকা পরামর্শ দিয়েছেন।

বৈঠকে জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল। পার্টিকে সাধারণ মানুষের আস্থার পার্টিতে পরিণত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আর এ কারণেই পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রাণবন্ত রাখতে দায়িত্বশীল সকল নেতৃবৃন্দ এক হয়ে কাজ করবে। যারা জাতীয় পার্টির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবে তাদের নেতৃত্বের বিকাশে যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। দেশ ও মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অটুট রাখতে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর এখনই প্রকৃত সময়। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে, তা এখনই নির্ধারণ করে সম্ভাব্য প্রার্থীর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দেবেন তাদের তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। তাদের কাছে তৃণমূলের সকল তথ্য থাকতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর