সংস্কারের কথা বলে যদি নির্বাচনকে বিলম্বিত করা হয় তাহলে এই সরকারের জন্য খারাপ সময় বয়ে আনবে, দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে (আইইবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার হবে কিন্তু কখন, কোন তারিখে হবে তা কোনো সরকারই বলতে পারে না। সংস্কার হচ্ছে একটা চলমান পদ্ধতি। আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি, আপনারা সংস্কারের প্রস্তাব দেন, আপনারা যা পারবেন না ভবিষ্যতে জনগণের সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংস্কারের কথা বলে যদি নির্বাচনকে বিলম্বিত করা হয় তাহলে এই সরকারের জন্য খারাপ সময় বয়ে আনবে, দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএব সংস্কার শুরু করেন, আমরাও সমর্থন করবো। কিন্তু সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে নির্বাচনকে। নির্বাচনের রোডম্যাপ দেন। জনগণ যখন রোডম্যাপ দেখবে, জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। আর জনগণ নির্বাচনমুখী হলে এই দেশে কোন ষড়যন্ত্র করা সম্ভব হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই দেশের মুক্তির জন্য সকল স্তরের মানুষ প্রাণ দিয়েছে, প্রাণ দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। এই দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় ছিলো, কদিন আগে যারা বিদায় হলো তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বা করেনি।
বাকশালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ যেনো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে না পারে সেজন্য সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে চারটি সরকারি সংবাদপত্র রেখেছিলো। বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন এইগুলো তখন শুরু হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিলো।
যে দেশে চুয়াত্তরে দুর্ভিক্ষ হয়েছে সেখানে জিয়াউর রহমান জীবিত অবস্থা বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই দেশের মানুষ যদি ভোট দেয়ার স্বাধীনতা পায় তাহলে তারাই সরকার পরিবর্তন করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাও প্রমাণ আছে এই দেশের মানুষ গণ অভ্যুত্থান করে এরশাদের পতন ঘটিয়েছে, আওয়ামী লীগের শুধু পতন নয়, তাদেরকে এই দেশ থেকেও বিতারিত করেছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা পতিত সরকার তারা দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। অতীতে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এই দেশের জনগণ তা মোকাবিলা করেছে। যারা ষড়যন্ত্র করছে, গত চার মাস এই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার আছে। তারা ভাবছেন, তারা দুর্বল কিন্তু তাদের সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের জনগণ আছেন।