বন্ধুকে শত্রু বানানোর চেষ্টা করছে : জিএম কাদের

, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-21 17:22:10

রাজনীতিতে বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বন্ধুকে শত্রু বানানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, এভাবে বন্ধুকে শত্রু বানানো ভালো ফল আশা করা কঠিন। কোন জটিল পরিস্থিতি হলে তখন তারা বন্ধুহীন হয়ে পড়তে পারে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে তার দেওয়া বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি যেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ার এসেছিল সেগুলো তুলে ধরে বলেন, জাতীয় পার্টিকে এখন ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনে পার্টির নেতাকর্মীদের ভুমিকা ও দুইজন কর্মী নিহত হওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এরপরও যদি গণহত্যার দায় জাপার উপর দেওয়া হয় খুবই দুঃখজনক। আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি বলে দোসর বলা হয়, কোন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছিল তারও বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। তারপরও বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে। ২০১৮ সালে সকলেই অংশ নেন। বৈধতার প্রশ্ন উঠলে বিএনপিও দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলন সফল করতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীর রক্ত দিয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারনে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ একটি চক্র এখন জাতীয় পার্টিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে অবিচার হচ্ছে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। আমরা রাজপথে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করবো।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সামান্য সমালোচনা সহ্য করা হতো না, লিফটের মধ্যে কথা বলতে ফিসফিস করতে দেখেছি লোকজনকে। আওয়ামী লীগের দুটি সফলতা ছিল এগুলো হচ্ছে ভীতি এবং হতাশার সৃষ্টি করা। কি অবস্থার মধ্যে রাজনীতি করতে হয়েছে দেশবাসী অবগত।

জিএম কাদের বলেন, টিক মার্কের নির্বাচন আমরা চাইনি, ২০২৪ সালের জোর করে নির্বাচনে আনা হয়। আমরা নির্বাচনে না গেলেও নির্বাচন করতো শেখ হাসিনা। তারা এ টিম-বি টিম বানিয়েছিল। ২০১৪ সাল থেকে রওশন এরশাদকে দিয়ে দলকে বিভক্ত করে রেখেছে।

দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখনই তারা ব্যর্থ কিংবা অসফল বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের সময় দিতে চাই, আমরা আশাকরি সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না। জামাত নিষিদ্ধের সময় আমি এর বিপক্ষে মত দিয়েছিলাম। আমি মনে করি যাদের ফলোয়ার রয়েছে, তাদের যদি নিষিদ্ধ করেন তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। এটা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর শিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর