জনতার চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে জনতার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা হলো সারা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ঢাকা শহর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সারা বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেজন্যই আমাদের স্পেশাল অ্যাটেনশন থাকে ঢাকা কেন্দ্রিক। তাই ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন ইউনিট ডেভেলপ করা হয়েছে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর যে পুলিশের আহ্বান করেছিলেন, ধীরে ধীরে সেই পুলিশে রূপান্তরিত হচ্ছে। আজকে পুলিশ-জনতার পুলিশ হয়েছে। পুলিশের সবগুলো ইউনিটি সুন্দরভাবে কাজ করছে বলে আমাদের যে ধরনের পুলিশ প্রত্যাশা ছিল, সে ধরনের সক্ষমতায় পুলিশ গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে নিরাপত্তার বিকল্প কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা শান্তি-শৃঙ্খলাও ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র চলছিল। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকাণ্ড দিয়ে অনেকাংশে বাংলাদেশ পুলিশ মূল্যায়িত হয়ে থাকে। সেজন্য সম্মানিত নগরবাসীর সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির কাজ করে যেতে হবে ডিএমপিকে। আর এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য ডিএমপির সদস্যদের নিরলস ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগরবাসীর কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে থানা। তাই আমরা চাচ্ছি থানাকে সকল সেবার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে। যাতে করে মানুষ নির্ভয়ে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারে। এ বিষয়টিকে ডিএমপি কমিশনারও জোর দিয়েছেন।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঢাকাবাসীকে নিরাপদ করতে ডিএমপির ৩৫ হাজার সদস্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগরবাসীর নিরাপত্তা জনিত সকল চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সীমাহীন আনন্দ হতো যদি এই শহরে একটি অপরাধও না হতো। কিন্তু আমরা যতই প্রতিরোধ করি না কেন অপরাধ মুক্ত শহর করা অনেক কঠিন। পৃথিবীর এমন কোনো শহর পাওয়া যাবে না যেখানে অপরাধ হয় না। তারপরও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এবং সীমিত যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কেকে কেটে ডিএমপির ৪৫ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে আস্থা নামে একটি বিশেষ প্রকাশনা প্রকাশিত করেন তারা।