ডেঙ্গু নিধনে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কমিটি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 00:19:27

ডেঙ্গু বা এডিস মশা নিধনে ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নগর উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশা ও ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গের বিস্তার রোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়।

তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে গিয়ে মশা নিধন করতে পারব না। উন্নত বিশ্ব মশা নিধনে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে। কারণ কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশ ক্ষতি হয়। এজন্য মশা মারতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। তাই এমন একটি উপায় আমাদের বের করতে হবে যাতে মশা মরে পরিবেশ বাঁচে।

তাজুল ইসলাম বলেন, রূপকল্প ২০২১, ২০৪১ এসডিজি অর্জনে মশা ও অন্যান্য ক্ষতিকর কীটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য ডেঙ্গু নিধনে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ (বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল), কার্যকর ও যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

সমবায় মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো এ বছরের মতো আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব না থাকে। এজন্য আজকের সভায় ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য একটি কমিটি করতে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে আমাদের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নগর উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে এর সঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কতোটা পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্নটি একেবারেই যথার্থ। আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য দায়বদ্ধতার আওতায় নিয়ে আসব।

সভায় বক্তরা বলেন, আমাদের দেশে কীটনাশক ব্যবহার হয় বিদেশেও ব্যবহার হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এক ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে ২০ বছর যাবৎ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ডেঙ্গু হয়। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশেও হয়। সে তুলনায় বাংলাদেশে তুলনামূলক কম হয়। ওষুধ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। শুধু সিটি করপোরেশনের জন্য বসে থাকলে হবে না। যার যার ঘর নিজেরা নিরাপত্তা দেবে।

এ সময় ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ, কুমিল্লা সিটি মেয়র নুরুল হক সাক্কু, সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কর্পোরেশন এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চেয়ারম্যান একেএম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন কীটতত্ত্ববিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর