আসামিদের ফাঁসি চায় রাষ্ট্রপক্ষ, আসামিপক্ষ চায় ন্যায়বিচার

ঢাকা, জাতীয়

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 06:20:46

হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ডে ২১ জন অভিযুক্ত হলেও চার্জশিট দেওয়া হয় ৮ জনের নামে। বাকি ১৩ আসামির ৫ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপর ৮ আসামি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ ১৩ আসামি বিভিন্ন সময় নিহত হওয়ায় তাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবিরের। তিনি চার্জশিট থেকে তাদের অব্যাহতি চেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে জীবিত ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১ জুলাই তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে বিচার চলছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারওয়ার খান (জাকির) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নিষিদ্ধ জঙ্গিসংগঠন জেএমবির নেতৃত্বে আসামিরা বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন ও বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় কুটনৈতিক এলাকায় হামলা করে দেশী-বিদেশিদের হত্যা করে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জগঠিত হয়। চার্জগঠন হওয়ার পর ৫২ কার্যদিবসে আমরা মামলার কার্যক্রম শেষ করি।

প্রসিকিউটর জাকির বলেন, চার্জশিটের ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষীকে আমরা আদালতে উপস্থিত করি। বিচারক তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এছাড়া ৮ জন আসামির মধ্যে ৬ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,  আসামিদের কেউ অস্ত্র সরবরাহ করেছে, কেউ অর্থ দিয়েছে, কেউ কেউ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অর্থাৎ তারা সবাই এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। আমরা মনে করি, সাক্ষ্য প্রমাণ আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আমরা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিধান মতে সকল আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কামনা করছি।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, সাক্ষীর সাক্ষ্য, আলামত, তদন্ত রিপোর্ট কিছুতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। অদালতে ৪ দিনের যুক্তিতর্কে আমরা সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।

তাছাড়া আসামিরা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছিল তা শেখানো কথা। আসামিরা নিজ মুখে অনেকবার এ কথা আদালতে বলেছে।

দেলোয়ার বলেন, আমরা মনে করি রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। আশা করি আদালত ন্যায় বিচার করবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর