লক্ষ্মীপুরে দিনব্যাপী বাহারি স্বাদের পিঠা-পুলির উৎসব

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2025-01-18 16:02:37

বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পিঠার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নতুন ধান বাড়িতে উঠলেই নতুন নতুন পিঠার সমাহার হতো। কালের বিবর্তনে তা কমে গেছে। সেসব পিঠার সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় নেই বললেই চলে। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেসব বাহারি নামের ও স্বাদের পিঠার সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই লক্ষ্মীপুরে জমকালো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। দিনব্যাপী চলবে পিঠা-পুলির এ মেলা।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজের সঞ্চালনায় পিঠা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সম্রাট খীসা ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল।

জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রতিবছর পৌষ সংকান্তি শেষে মাঘের শুরুতে লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। এবার শহরের বাগবাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে বাহারি নাম ও স্বাদের দুই শতাধিক পিঠার সমাহার নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে শতাধিক স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এ উৎসবকে ঘিরে পিঠাপ্রেমীরা প্রত্যেকটি স্টলের সামনে ভিড় জমায়।

পিঠা উৎসবে আসা নাঈমা আক্তার নামে এক তরুণী জানান, পিঠা উৎসবের আয়োজনটি দারুণ ছিল। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদেরকে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সামনে এনে দেয়। এসব দেখে শিক্ষার্থীরা পিঠা তৈরি ও খাওয়ার জন্য উৎসাহী হয়।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজ বলেন, প্রতিবছরই আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করি। এবারও একইভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা শতাধিক স্টলে দুই শতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই পিঠাপ্রেমীরা আমাদের স্টলগুলোর সামনে ভিড় জমায়। পিঠাপ্রেমীদের সাড়া এমন আয়োজনে আমাদেরকে আরও বেশি উদবুদ্ধ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, যে দেশের মানুষ তার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক ভুলে যায় তারা কখনো বড় হতে পারে না। তারা কখনো উন্নত জাতি হতে পারে না, তারা কখনো উন্নত দেশ গঠন করতে পারে না। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শেকড়কে মনে করিয়ে দিতে পিঠা উৎসব ভূমিকা রাখবে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর