নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু রোপনের পরে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এ অঞ্চলের জমিগুলো একদম উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় প্রতিবছর আগাম আলু চাষ হয়ে থাকে। আলু রোপণের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করে বাজারজাত করা হয়। তবে এবার আলুর বীজ ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ন্যয্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুচিন্তায় কৃষকেরা।
সোমবার (৫ নভেম্বর) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, কৃষকেরা আগাম আলু চাষের পরে আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙে মুখরিত। কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা এখন ক্ষেত পরিচর্যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, সেচ, ছত্রাক রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে সহ বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি অফিস বলছেন, এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।
সদর ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ি এলাকার আলুচাষী মাহাবুল ইসলাম বলেন, আমি অধিক লাভের আশায় আগাম আলু রোপন করেছি। গতবারের থেকে এবার খরচ বেশি হয়েছে। আলুর বীজের দাম বেশি, আমার আলু রোপণের ৩০ দিন হচ্ছে আর ৩০ দিন পরে আলু উত্তোলন করব৷ আশা করি ভালো দাম পেলে লাভ হবে।
আরেক আলু চাষি আব্দুর রহমান বলেন, এবার আমি ৮ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছি। বীজ, কৃষক, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেশি হচ্ছে। আগাম আলুতে ভালো দাম না পেলে লস হয়ে যাবে আগাম আলু রোপন করে দাম নিয়ে চিন্তায় আছি। বীজের ৬৫-৭০টাকা কেজি বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি। তবে এ উপজেলায় প্রতিবছর কৃষকেরা আগাম আলুর ভালো দাম পেয়ে থাকে। অনেকে আগাম আলু রোপণ করেছে।যারা আগাম আলু রোপন করেনি তারা এখন আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ায় এবং কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ একটু বেশি হচ্ছে।