ঢাকা-লন্ডন রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে বিমান
ঢাকা-লন্ডন রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা বেড়ে ৫টিতে উন্নীত করা হচ্ছে। এজন্য বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ৫ম ফ্রিকোয়েন্সির জন্য আবেদন করেছে। এটি অনুমোদন পেলে এই রুটটিতে অচিরেই সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, মূলত রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সকে আরও গতিশীল করতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ লাভজনক রুটসমূহে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াচ্ছে। একইসাথে লোকসানি রুটসমূহের ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হচ্ছে। এরই মধ্যে লাভজনক ঢাকা-টরন্টো রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে তিনটিতে উন্নীত করা হয়েছে।
এদিকে লোকসানি ঢাকা-নারিতা, ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটের ফ্লাইট সংখ্যা একটি করে কমানো হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা-কলকাতা ও ঢাকা-দিল্লি রুটের ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিমান ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটে এক কোটি ১০ লাখ, ঢাকা-রোম রুটে ৮৮ লাখ টাকা লোকসান আর প্রতি মাসে নারিতায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দেয়। ২০০৬ সালের আগস্টে বন্ধের আগ পর্যন্ত ঢাকা-নিউইয়র্কের প্রতি ফ্লাইটে ৫০ লাখ টাকা লোকসান হতো। ওই সময় বিমান প্যারিস, নেদারল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, নারিতা, রোমের মতো লোকসানি রুট বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে আবার রোম, নারিতা, ফ্রাঙ্কফুর্ট রুট চালু করা হয়।
লোকসানের মুখে দুই দফায় রোম ফ্লাইট চালু করে বন্ধ করা হয়েছিল। সম্প্রতি এই রুটটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট আবারও চালু করা হয় এবং কিছুদিনের মধ্যে তা আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
সেই সাথে চলমান রুটগুলোর দক্ষতা বাড়াতে কোথাও কোথাও রুট সংখ্যা কমানো হয়েছে। মূলত যেসব রুটে যাত্রী কম বা চাহিদা কিছুটা কম আবার যেসব রুটে চাহিদা বেশি সেসব রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে লাভজনক রুটগুলোতে আগামীতে এয়ারলাইন্সের আয় বাড়বে বলে আশা করছে বিমানের মার্কেটিং বিভাগ।
পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, এয়ারলাইন্সের বর্তমান রুটগুলোকে আরও দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে কোনো নতুন রুট চালুর ক্ষেত্রে সঠিক মার্কেট রিসার্চ লাগবেই। রিসার্চ ছাড়া রুট চালু বা সম্প্রসারণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
এছাড়া বিমান মালদ্বীপের মতো প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছে। ঢাকা-রোম রুটের কানেক্টিভিটি বাড়াতে রোম থেকে ইতালির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুট এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশে কোড শেয়ারিং পার্টনারশিপ করতে কাজ করছে। এরই মধ্যে ইতালির পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স আইটিএ এয়ারওয়েজের সাথে এসপিএ (সেলস এন্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্ট) এগ্রিমেন্ট চূড়ান্ত করেছে। জাপান এয়ারলাইন্সের সাথেও এসপিএ করার প্রস্তুতির কাজ করছে বিমান।
এদিকে বিমান দক্ষ ক্রু ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুলে স্টপ ওভারের পরিবর্তে ইতালির রোমে অবতরণের পরিকল্পনা করছে। কারণ এরই মধ্যে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানকে ইস্তাম্বুল প্রধান বিমানবন্দরের পরিবর্তে নিকটবর্তী বিমানবন্দর ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।