বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সজিব তরফদারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় সজীবের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে থাকা তার চাচা কামাল হোসেন তরফদার (৬৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মির্জাপুর জামে মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল তরফদারের চোখে শটগানের গুলি লেগেছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সজীব বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ডেমা গ্রামের সিদ্দিক তরফদারের ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইদুর রহমান জানান, এদিন দুপুরে সজিব তরফদার বাগেরহাটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা শেষে ডেমা গ্রামে ফিরছিলেন। তারা দু’টি মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন। একটি মোটরসাইকেলে সজিব চালাচ্ছিলেন। তারা মির্জাপুর জামে মসজিদের কাছে এলে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা সজিবকে গুলি ও কুপিয়ে আহত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন,সজীবকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে । জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সজীব ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এটিও একটি কারন হতে পারে।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সজিবের লাশ, গুলির খোসা, সজিবের মোটরসাইকেল ও আরো দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সজীবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সজীবকে হত্যা করেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায়, এটা শটগানের গুলি। ধারণা করছি, শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল। হত্যাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।