চলতি বছরের (২০১৮) হজ ব্যবস্থাপনায় মক্কা-মদিনায় বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে সরকার। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত এজেন্সি ও অভিযোগকারীর জবানবন্দি নেবে। এরই মধ্যে জবানবন্দির জন্য ৯টি হজ এজেন্সিকে তলব করেছে তদন্ত কমিটি-১।
রোববার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী (৩য় তলা), বায়তুল মোকাররমে তদন্ত কমিটি-১ এর শুনানীতে সাক্ষ্য প্রমাণসহ উপস্থিত থাকার জন্য অভিযোগকারী এবং হজ এজেন্সিসমূহের স্বত্তাধিকারী কিংবা প্রতিনিধিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও তদন্ত কমিটি-১ এর সদস্য সচিব মো. মোস্তফা কাইয়ুম স্বাক্ষরিত নোটিশে এসব কথা জানা গেছে।
এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- টাকা নিয়ে হজে না পাঠানো, মক্কায় অসুস্থ হজযাত্রীর খোঁজ-খবর না নিয়ে উল্টো ৩শ’ রিয়াল রোগীর কাছে থেকে নিয়ে চিকিৎসা করানো, হাজীদের সৌদি আরব রেখে এজেন্সির প্রতিনিধির বাংলাদেশে চলে আসা, মদিনায় ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করানো, মদিনায় হাজিদের থাকার কোনো ব্যবস্থা না করা এবং এজেন্সির কোনো প্রতিনিধির তাদের সহযোগিতা না করা, মক্কার ভাড়াকৃত বাড়ি নিম্নমানের, মক্কা থেকে দূরের বাড়িতে রাখা হয়েছে, মক্কা-মদিনায় এজেন্সির কোনো প্রতিনিধির খোঁজ-খবর না দেওয়া, যথাসময়ে খাবার সরবরাহ না করা ও নোংরা পরিবেশে রাখা।
অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলো হলো- আল আরব ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ০১৩), হাজরে আসওয়াদ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নং ৮০৭), আবাবিল ওভারসিজ লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ১৬), আল মদিনা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ০২০), আল মাহমুদ ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ২১), রাজন ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ১২০), রয়েল এয়ার সার্ভিস লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ১২৩), আল ফাইন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১৬৯) ও শামস মির্জা ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ২০৩)।