ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রচারে ভয় পেয়ে নিবার্চন কমিশনকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) এমনটাই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ মানিকম ঠাকুর।
উল্লেখ্য, একটি নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অযাচাইকৃত এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। তারই প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘বিজেপি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রচারে চাপের মুখে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছে সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু, তারা সেই অভিযোগগুলো কানে তুলছে না।’
বিজেপি নেতা হরদীপ সিং পুরি, অনিল বালুনি এবং ওম পাঠকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে বিজেপি নেতাদের মতে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা দাবি করেছেন যে, মোদি সরকার সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ করেছে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া চিঠিতে নিবার্চন কমিশন লিখেছে, ‘অভিযোগ করা হয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের সানওয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আপনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে অপ্রমাণিত এবং মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন, যা জনসাধারণের বিভ্রান্ত হাওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।’
মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলায় একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি সংস্থাগুলোকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছেন, যাদের তিনি তার শিল্পপতি বন্ধু বলে ডাকেন।
কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘মোদিজি, যে ভেল থেকে আমরা কর্মসংস্থান করতাম এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, তা দিয়ে আপনি কী করলেন? কাকে দিলেন? কেন আপনি আপনার শিল্পপতি বন্ধুদের এটা দিলেন?’
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘জনগণের প্রশ্ন এড়াতে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ওই মন্তব্য করেছেন।’