মিনিট দশেক ধরে তা থামছে না দেখে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা।
দেখেন, পথের পাশের বড় নর্দমায় উল্টে পড়ে আছে একটি প্রাইভেট কার।
ভেতরে অনেকগুলো মানুষ।
বেশির ভাগই অচেতন।
এখানকার যে কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলেই ছুটে আসতেন কালিকা।
এই তো সেদিন, শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের সময়ও গান বেঁধেছিলেন তিনি।
‘আজ আমাদের প্রেম, আমাদের রাগ, শাহবাগ শাহবাগ/ আজ দুনিয়ার কাছে লড়াই মানেই, শাহবাগ শাহবাগ।’
স্কুল-কলেজের পাঠ সেরেছেন সেখানেই।
পরের পড়াশোনা কলকাতার যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০০১ সালে বেরোয় তাদের প্রথম অ্যালবাম, ‘বন্ধুর দেশে’।
সেই থেকে চলছেই।
একের পর এক অ্যালবাম, বিভিন্ন মঞ্চে গান, টিভিতে অনুষ্ঠান ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ততা বাড়তেই থাকে প্রতিনিয়ত।
শৈল্পিক মাত্রা অতিক্রম করে মগ্ন থাকতেন গানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে।
দুর্ঘটনার আগে, কালিকার শেষ অনুষ্ঠান ছিলো পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট-গোপালপুরে।
সেখানে লোকগানের ভাণ্ডার উপুড় করে উপহার ঢেলে দিয়েছেন শ্রোতাদের।
কালিকার এমনই সৌভাগ্য যে, সেই অনুষ্ঠানটি শেষ করতে হয়েছে তাকে জাতীয় সংগীত শুনিয়ে।
এটিই ছিলো তার জীবনের শেষ গান।
কিন্তু, এমনটা তো কথা ছিলো না!
কত গান যে এখনও হয়নি গাওয়া, কত কাজ যে এখনও বাকি!
সাতচল্লিশ আর কত বয়স!
বিনম্র শ্রদ্ধা তার জন্য..।