খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মো: নুরুন্নবী মোল্লাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার বিকাল ৫টার মধ্যেই কুয়েটের ৭টি হলের মধ্যে ছেলেদের ৬টি হলের ছেলেরা হল ত্যাগ করেছে। মেয়েদের ১টি হলের প্রায় সবাই হল ত্যাগ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে কুয়েটের এমএ রশীদ হল ও ফজলুল হক হলের মধ্যে আন্তঃহল ফুটবল খেলা চলছিলো। খেলা চলাকালীন বিকাল ৫টার দিকে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র রেফারিকে মারধর করে একটি দল। অপর দল এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করাকে কেন্দ্র করে দু’টি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। সন্ধ্যা নাগাদ এ উত্তেজনা বেড়ে এম এ রশীদ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলে ছড়িয়ে পরে। এ সময় অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। রাতে উত্তেজনা আরও বাড়লে কুয়েট প্রশাসন জরুরি সভা ডেকে মধ্যরাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন কুয়েট ক্যাম্পাস শান্ত আছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মো: নুরুন্নবী মোল্লাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।