আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে কোন ধরনের ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে চলবে না। আমরা সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের কাছে আপিল করেছি, যাতে তারা বুয়েটে কোন কমিটি না দেন। বাকি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হবে।’
এসময় বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, বুয়েটে কোন শিক্ষকও রাজনীতি করতে পারবেন না। আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছি, তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে সব সহায়তাই দেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির আল-নাহিয়ান খান জয় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ ছাত্র রাজনীতি না থাকলে উগ্রবাদ, জঙ্গী মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনীতির প্রয়োজন আছে। এ কারণেই বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আমরা সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। তাই বুয়েটে কমিটি বিলুপ্ত করার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ যোগাযোগও করেননি। তবে আমরা চাই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠুভাবে রাজনীতি চলুক।’
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বার্তাটোয়েন্টফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা আর আশ্বাসের মধ্যে থাকতে চাই না, বাস্তবায়ন চাই। বুয়েট ক্যাম্পাসে কোন রাজনীতি চলবে না। কারণ আগেও অনেক আশ্বাস আমরা শুনেছি, তা বাস্তয়ন হয়নি। তাই এবার আমরা এসব দাবির বাস্তবায়ন চাই।’