ডাক্তারের অনুপস্থিতিকেও দুর্নীতি হিসেবে ধরছে দুদক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে আকষ্মিক অভিযানে বেশ কিছু হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতি ও কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ আমলে নিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ীই ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, হ্যাঁ দুদক গিয়েছিলেন, উনারা কিছু হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতি পেয়েছেন। ডাক্তারের অনুপস্থিতিকেও দুর্নীতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বড় মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় ১৬ কোটি লোকের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী যতগুলো পুরস্কার পেয়েছেন তার বেশির ভাগই স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। আমাদের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। এ সব কিছুই কাজের মাধ্যমে হয়েছে, কাজ করতে গেলে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতেই পারে।  এবছর দুদক গিয়েছিল, তারা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। হ্যাঁ এটা আমরা অস্বীকার করব না। আমাদের কিছু হাসপাতালে ডাক্তারের উপস্থিতি দেখতে। হাসপাতালে যদি কেউ অনুপস্থিতি থাকে এটাকেও দুর্নীতি হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, উনি (দুদকের পরিচালক মুনির চৌধুরী) এসে কিছু সুপারিশ দিয়ে গেছেন, তার সুপারিশ আমরা রেখেছি। তবে কোনটা গ্রহণ করব কোনটা করব না সেটা আমাদের বিষয়। আমাদের নিজেদের নীতিমালা আছে। আমরা আামদের নীতিমালা ও পলিসি অনুযায়ী চলব। তবে হ্যাঁ অবশ্যই চেষ্টা করব মন্ত্রণালয়ে যাতে কোন রকমে কোন পর্যায়ে দুর্নীতি না হয়।

মন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ অভিযোগটাই হলো বিশেষ করে উপজেলায় ডাক্তার থাকে না। সে বিষয়ে আমরা এখন যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় ৬ জন করে ডাক্তার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এরইমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। বিশেষ করে এমও এবং ইএমও যারা মূলত কাজ করেন। সেটা অল্প দিনেই পাবেন। ডাক্তারদের উপস্থিতি কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আমরা মনিটরিং সেল তৈরি করেছি। আমাদের মন্ত্রণালয়েরও মনিটরিং সেল আছে, ডিজি অফিসে আছে, প্রতিটি বিভাগীয় অফিসে আছে এরমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা মনে করি এই মনিটরিং সেলটা যদি সুন্দরভাবে করতে পারি তাহলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারব।

সরকারি দলের আরেক সদস্য শাহে আলমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অচিরেই ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের জন্য কাজ করছি। আগামী মার্চের মধ্যে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন হবে। বিষয়টি এখন পিএসসি’র মাধ্যমে আছে। এই ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন হলে ডাক্তারের সমস্যা আর থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজার ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা আমাদের আছে ৪ জন।