‘দেশে যুব বেকারত্বের হার ৪৮ শতাংশ’

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব এশিয়ান পলিটিক্যাল পার্টিস (আইসিএপিপি)-এর সন্মেলন

ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব এশিয়ান পলিটিক্যাল পার্টিস (আইসিএপিপি)-এর সন্মেলন

বাংলাদেশে যুব বেকারত্বের হার ৪৮ শতাংশ বলে আইসিএপিপি সম্মেলনে জানিয়েছেন জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল। তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ কর্মসংস্থান হয় ব্লু কলার ওয়ার্কারদের জন্য। ফলে হোয়াইট কলার তরুণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকার থাকতে হয়।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব এশিয়ান পলিটিক্যাল পার্টিস (আইসিএপিপি)-এর সন্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতাকালে এ সব কথা বলেন জাকের পার্টির নিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, নেপালসহ ১৯ টি দেশের ৩২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এ সন্মেলনে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, সরকারের উচিত যুব কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠন করা। জাতীয় বাজেট থেকে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া উচিত, যাতে করে দেশজুড়ে স্টার্টআপ উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এতে করে এসব স্টার্টআপের জন্ম ও বিকাশে সরকারের অর্থায়ন হবে বীজ বপনের মতো। এই উদ্যোগ কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং একই সাথে তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে। আর এটাই হবে চলমান যুব বেকারত্ব সংকট মোকাবেলার দৃশ্যমান কার্যকর কর্ম পরিকল্পনা।


জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের জন্য যা করেছেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। পরিবর্তন শব্দটির সাথে যুবক শব্দটি সমার্থক। রাজনৈতিক ময়দানে কোন কিছুরই নিশ্চয়তা নেই, একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা আছে তা হলো পরিবর্তন। পরিবর্তন হলো সত্যিকারের ধ্রুবক। আমরা বিশ্বাস করি, জাকের পার্টির উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি আধ্মাতিক ও অর্থনৈতিক বিপ্লবের জাগরণ হবে।

ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি বিদ্বেষ, দুর্নীতি, খুন এবং দলীয়করণের সমার্থক। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৩৫ এর নিচে। অথচ বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যের গড় বয়স ৬০। ৩০ বছরের কম বয়সী সংসদ সদস্যদের বিশ্ব র্যাসকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। তার অর্থ দাড়ায়, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে যুবকদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র শতকরা ০.৩ ভাগ। আমাদের শতকরা ৬৫ ভাগ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্সের অধিকারী, এ সব ব্যবসায়ীরা যদি আমাদের সংসদকে ডমিনেট করে সেক্ষেত্রে আমরা কিভাবে তরুণ যুবকদের ক্ষমতার বলয়ে আত্মীকরণ করতে পারি।