প্রোক্লেমেশন নয়, গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ডিক্লারেশন চায় ১২ দলীয় জোট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ডিক্লারেশন/ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ডিক্লারেশন/ছবি: সংগৃহীত

ঘোষণাপত্রে কেবল জুলাই- আগস্টের ৩৬ দিনের গণ-অভ্যুত্থানের সময় নয় বরং বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন, ত্যাগের স্বীকৃতির দাবি করেছে ১২ দলীয় জোট। এছাড়া ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই আন্দোলনকে 'গণ- অভ্যুত্থান' উল্লেখ করে প্রোক্লেমেশন বাদ দিয়ে ডিক্লারেশন চায় জোটের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পল্টনের জামান টাওয়ারে জাগপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ১২ দলীয় জোট সহ বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দল মনে করে এ ঘোষণায় বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম, গুম-খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুমসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা সব থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে একমত হয়ে তা করতে হবে। আমরা জুলাই-আগস্টের ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই জাগরণকে, 'গণ- অভ্যুত্থান' বলে মনে করি। ফলে 'প্রোক্লেমেশন' নয়, গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটা 'ডিক্লারেশন' বা 'ঘোষণা' আসতে পারে বলে মনে করি।

তিনি বলেন, হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রোক্লেমেশনের বর্ণনা দিয়ে ১২ দলীয় জোটের এ নেতা বলেন, এ ধরনের ঘোষণাপত্রে সংবিধান স্থগিত করার কথা থাকে। তখন সামরিক ফরমান বা 'প্রোক্লেমেশন' বা ঘোষণাপত্রে সংবিধান স্থগিত করার কথা থাকে। তখন সামরিক ফরমান বা প্রোক্লেমেশন দিয়ে সংবিধানকে স্থগিত করা হয়। এই ঘোষণাপত্রের অধীন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা রাষ্ট্রপতি সংবিধানের যেকোনো ধারা বা ধারার অংশবিশেষ সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন-বিয়োজন করতে পারেন। তখন সংবিধান কার্যকর থাকে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রশ্নগুলোও আর থাকে না। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান ছিল যে, এ ঘোষণায় কেবল জুলাই- আগস্টের ৩৬ দিনের গণ-অভ্যুত্থানের সময় নয়, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনের, ত্যাগের স্বীকৃতি থাকতে হবে।

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকের সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে ১২ দলীয় জোট কোন বার্তা পায়নি। আন্দোলনের অনেক অংশীজনও আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়নি। যেহেতু বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ আমরা আশা করেছিলাম সরকার আন্দোলনের সব অংশীজনদের সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমন্ত্রন জানাবেন। এক্ষেত্রে আমার চরম আশাহত হয়েছি। আজকে ফরেন একাডেমিতে বৈঠকের নানে একটা নাটকমঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এই বৈঠক কার স্বার্থে?

এক প্রশ্নের জবাবে জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজও আমাদের ঐক্য অটুট রয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসন সহ নানা জায়গায় জটিলতা তৈরি কার পায়তারা করছে। শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সর্তক থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব তমিজউদ্দীন টিটু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।