খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র কায়েম করা হবে: মঈন খান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানববন্ধনে ড. আব্দুল মঈন খান সহ মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ, ছবি: বার্তা২৪

মানববন্ধনে ড. আব্দুল মঈন খান সহ মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ, ছবি: বার্তা২৪

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে পুনরায় দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে এ দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।'

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি' শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, 'আওয়ামী লীগ কোনো দিন এদেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা চেয়েছে একদলীয় শাসন। ১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করে নাই। একদলীয় শাসনের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।'

তিনি বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বর্তমান সরকার মেগা প্রজেক্ট করছে। এতে করে লাভবান হচ্ছে সরকারের গুটিকয়েক পোষা লোকজন। কয়েকদিন আগে একটি কথা শুনেছি বাকশাল এর মাধ্যমে নাকি গণতন্ত্র হয়। আমার প্রশ্ন পৃথিবীতে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই লিখেছেন তারা কি সেই বই বাতিল করে নতুন করে বই লিখবেন বাকশাল এর মাধ্যমে গণতন্ত্র হয়।'

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'গতকাল জাতিসংঘ সারা বিশ্বে সুখী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। বলতে লজ্জা হয় বাংলাদেশ সুখী দেশগুলো যে পজিশনে ছিল সেখান থেকে ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে। সরকার সব সময় বলছে বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের রোল মডেল, তাহলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নামল কেন। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে, ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন টিকে থাকা যায় না।'

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামছুন্নাহার প্রমুখ।