হেঁটে চলতে কষ্ট হচ্ছে এরশাদের

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

বয়সগত ও অসুস্থতার কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হেঁটে চলতে অনেক কষ্ট হচেছ। শপথে অংশ নিতে তার জন্য হুইল চেয়ার রেডি রাখতে বলা হয়।

তবে সবার সামনে হুইল চেয়ারে বসে শপথ নিতে আসতে চান না সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। অন্যদের চোখকে ফাঁকি দিতে বিকেল ৩ টায় এককভাবে শপথ নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে সময় নেন এরশাদ। কিন্তু দুপুরের পরেও সংসদ ভবনের ভেতরে বাইরে নবনির্বাচিত এমপি ও মিডিয়া কর্মীদের আনাগোনায় সরগরম তখন আবার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। অন্যদিন শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় রওশন এরশাদ তাকে ফোন দিয়ে শপথ নেওয়ার জন্য আসতে বলেন। তাকে ফোনে জানান আজকে শরীর অনেক বেশি খারাপ লাগছে। মনে হয় হুইল চেয়ারে করে যেতে হবে। অন্যদের সামনে হুইল চেয়ারে করে আসতে লজ্জা লাগছে। তাই আজকে শপথ নিতে আসবো না। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করে অন্য কোনো দিনে শপথ নেবো।

রওশন ও এরশাদের মধ্যে মোবাইলে কথোপকথনের সময় উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০ নভেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর আর কখনও সেভাবে প্রকাশ্যে আসেন নি। ৬ ডিসেম্বর বনানীতে এলেও গাড়ি থেকে নামেন নি। গাড়িতে বসেই কয়েক মিনিট কথা বলে বাসার উদ্দেশ্যে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর যান চিকিৎসার জন্য। ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও কোনো রকম দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন নি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যান নি।

১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া এরশাদ, নিজেকে সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিবীদ বলে দাবী করে থাকেন। অনেকদিন ধরেই শারীরিক নানান জটিলতায় ভুগছেন। থাকেন বারিধারার বাস ভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে। মাত্র কিলোমিটার দূরত্বে বনানী পার্টি অফিস হলেও যাওয়া আসা বন্ধ রেখেছেন।