ভোট গণনার পর কেন্দ্র ছাড়ার আহ্বান ঐক্যফ্রন্টের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা/ ছবি: সৈয়দ মেহেদী

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা/ ছবি: সৈয়দ মেহেদী

সকল বাধা পেরিয়ে আগামী ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়া এবং ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। 

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা স্কুল মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার দুপুর ২টায় উপজেলার সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে করতে পারেনি। এর বিকল্প হিসেবে সোনাকান্দা স্কুল মাঠে সভা করে ঐক্যফ্রন্ট।

সভায় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রার্থীরা নয়, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচন করছেন। আপনি একটা ভোট দেবেন, নেত্রী মুক্ত হবে- এটা মনে করে বাড়ির সবাইকে, পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে নিয়ে ৩০ তারিখ ভোট দেবেন। সে দিন কোনো বাধা মানবো না। ভোট দিয়ে ভোট গণনার পর ভোটকেন্দ্র ছাড়বো।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/21/1545399924437.gif

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'এরা চুরি করার ওস্তাদ। মেগা প্রজেক্ট থেকে মেগা চুরি করে, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল থেকে চুরি করে, ভোট চুরি করতেও কিন্তু ওরা ওস্তাদ। আগের রাতেই নাকি ব্যালট বাক্স ভরে রাখবে বলতেছে। তো আগের রাত থেকেই পাহাড়া দেবেন।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই বাধা দিয়েছে। হামলা করেছে, মাইক কেড়ে নিয়েছে, প্রচার করতে দেয়নি। গ্রেফতার করেছে কিন্তু কণ্ঠ বন্ধ করতে পারে নাই।’

তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে ভোট দেবেন। তারপর ক্ষুধা লাগলে বাড়ি গিয়ে খেয়ে আবার ভোট কেন্দ্রে আসবেন। পুলিশ বলবে, আবার কী চাও ভোট তো হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা বলবে বাড়ি যাও ভোট শেষ। আপনারা বলবেন, ভোট যেহেতু দিয়েছি সেটা গুণে নিয়ে তারপর যাবো।’

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সমন্বয়ক ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনের চেয়েও কম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নয়। ভোটের দিন আপনারা ভোটের বাক্স পরীক্ষা করে দেখবেন। ভোটের বাক্স সরাতে পারবে না ভোট না গুণে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকারসহ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/21/1545399962384.gif

এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশান থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গাড়িবহর নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রাবাড়ি পার হওয়ার পর মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

কাঁচপুর ব্রিজ অতিক্রম করে সোনারগাঁও উপজেলায় পৌঁছলে হামলার আশঙ্কা থেকে হঠাৎ গাড়িবহর থেমে যায়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী এসে নারায়াণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানান।

বন্দর এলাকায় হামলা হতে পারে আশঙ্কা থেকে পুলিশ সুপার স্বয়ং এসে নিরাপত্তা দিয়ে জনসভাস্থলে গাড়িবহর পৌঁছে দেন। পরে সভা শেষ হলে কঠোর নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জ পার হয় ঐক্যফ্রন্টের গাড়িবহর।