ইসি-সরকার-বিচার বিভাগ, গণতন্ত্র ধ্বংস করতে একজোট হয়েছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচন কমিশন, সরকার ও বিচার বিভাগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য একজোট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১ টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি), সরকার এমনকি বিচার বিভাগ, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য এক জোট হয়েছে। এটা আমাদের কাছে শুধু বিস্ময়কর নয়, আতঙ্কের। এই কথা আমরা অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা আশা করেছিলাম তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দল তাদের প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় নামতে পারছে। নির্বিঘ্নে প্রচারণা করতে পারছে। মামলা আপাতত স্থগিত থাকছে। কিন্তু তা হয়নি। দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে সেই অবস্থায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি জায়গায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকি আমরা কাকে দলীয় মনোনয়ন দেবো তাও হাইকোর্ট থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কিভাবে বলবো হাইকোর্ট থেকে ন্যায় বিচার পাচ্ছি?

ফখরুল আরও বলেন, একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এই ভাবে বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে কি মানুষ মনে করবে না এখন বিচার বিভাগও সরকারের ইচ্ছায় কাজ করছে? এভাবে বিচার বিভাগের উপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আমাদের ১৫ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করতে চাচ্ছে। 

'বিএনপির টাকা নিন নৌকায় ভোট দিন' প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমাদের টাকা কোথায়? জমা-জমি, বাড়ি ঘর বিক্রি করার অবস্থা হয়ে গেছে। আর প্রধানমন্ত্রী এই কথা কিভাবে বলতে পারেন? সম্পূর্ণ অনৈতিক, টাকা নিন ভোট দিন এর চাইতে অনৈতিক কথা আর কি হতে পারে? অনৈতিক পরামর্শ দেওয়া অপরাধ। আমি দাবি করবো নির্বাচন কমিশন এই গুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।