শেখ হাসিনা মন্দের ভাল-বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কামরুল হাসান নাসিম- সুমন শেখ।

কামরুল হাসান নাসিম- সুমন শেখ।

শেখ হাসিনাকে মন্দের ভাল বলেছেন বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘বিএনপি পুনর্গঠন, সংবিধান, জাতীয়তা, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, জাতীয় নির্বাচন, শাসনরীতি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির নতুন করে পথচলার একটি সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত ইস্যু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

কামরুল হাসান নাসিম বলেন, গালভরা ভিশন রেখে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হবে- এমন করে দেখার সুযোগ নেই। কার্যকরী নেতৃত্ব পারে এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে সমুন্নত করতে। সেটার জন্য ৭ বছর যথেষ্ঠ। একজন শেখ হাসিনা প্রায় দশ বছরে সামান্য এগিয়েছেন। আরো পারতেন, তবে তার টিম খুব দুষ্টু ও দুর্নীতিপরায়ণ। আর আমাদের বলয়টায় একজনও বঙ্গবন্ধু কন্যার মত নেই। তবে বলাই যায়, শেখ হাসিনা মন্দের ভাল সরকার।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনার দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে থাকা নেতাদের সঙ্গে মাঝেমাঝে সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হয়। রাজনৈতিক লেখাপড়ায় তাঁদের ঘাটতি আছে। আপনি বিচক্ষণ চরিত্রের। ঠিক সে কারণেই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনার দল যদি মনে করে থাকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বাদ দিয়ে যা ইচ্ছে করবেন, তবে আজকের প্রকৃতির রঙ বদলে যাবে। স্রষ্টা আপনার কাছ হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে। কাজেই সংবিধান, জাতীয়তা, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, গণতন্ত্র, শাসনরীতি ইস্যুতে ধীরে ধীরে আমরা জাতীয় ঐক্যে পৌঁছতে চাই। কিন্তু  আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মাঝে ঐক্য হওয়াটা দরকার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গ তুলে কামরুল হাসান নাসিম বলেন, সরকার দলের পক্ষ হতে একেক সময় একেক ধরণের বক্তব্য রাখা হচ্ছে এই ইস্যুতে। আমি মনে করছি,  রাজনৈতিক অর্জন জনপ্রতিনিধি হওয়ার মধ্যেই কেবল নিহিত থাকতে পারে না। কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রতিনিধিত্বমুলক সত্তার জায়গা হোক। সার্বিক নানা দিক বিবেচনা করে এই সরকারে জায়গা পাক রাজনীতিবিদ হতে শুরু করে পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ।

এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে জন্য ৩১ সদস্যের একটি নামের তালিকা প্রস্তাব করেন। তালিকায় আওয়ামী লীগ -বিএনপি'র সিনিয়র নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ৪ জন সিনিয়র সাংবাদিকের নাম রয়েছে।