নড়াইল জেলা বিএনপি নামে আছে, কাজে নেই

  • শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নড়াইল জেলা শাখা। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নড়াইল জেলা শাখা। ছবি: বার্তা২৪.কম

নড়াইল: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নড়াইল জেলা শাখা নামে থাকলেও তাদের কোনো কার্যক্রম কারো চোখে পড়ছে না। নতুন কমিটি গঠনের ৯ মাস অতিবাহিত হলেও কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি। কমিটির সভাপতি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করেন। আর সাধারণ সম্পাদক থাকেন আত্মগোপনে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই বললেই চলে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন হলেও নড়াইলে এর দেখা নেই। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনও করে বিক্ষুব্ধ নেতারা। তারা অভিযোগ করেছিলেন সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে থাকেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি জেলায় আসেন না। দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের কোনো খবর রাখেন না।

বিজ্ঞাপন

আর সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে আতাত করে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে নতুন কমিটি গঠনের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও রাজপথে নেই জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ কোনো নেতাই। সারা দেশ যখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে রাজপথ দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে, সরব হয়েছে মিছিল-মিটিংয়ে। তখন এ জেলার নেতারা ফেসবুকে কিছু কড়া ভাষণ আর শহরে কিছু ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভী জর্জ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের কাছে আমরা সভা-সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পাই না।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সভা-সমাবেশ করা হয় দাবি করে বলেন,‘আমাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশের ছবি রয়েছে। চাইলে দেখতে পারেন।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সংগঠনের সভা-সমাবেশ আহ্বান করার দায়িত্ব দলের সভাপতি-সম্পাদকের। তারা ডাকলে আমরা আসব। কিন্তু বর্তমান কমিটি দীর্ঘদিন হলেও কোনো মিটিং-মিছিলের আয়োজন করছে না। আমাদের ডাকা হোক। আমরা হামলা-মামলার শিকার হলেও নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে চাই।’