তিশা, মায়া ও নাইম তিন বন্ধু। হঠাৎ করেই তারা প্ল্যান করে নেপালে আসবে। মায়া ও নাইমের কোন ঝামেলা না থাকলেও তিশা পারিবারিক বাঁধার সম্মুখীন হয়। তিশার পরিবার বেশ রক্ষণশীল। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঢাকার বাইরে যেতে দিতেই তারা নারাজ।
সেখানে দেশের বাইরে যেতে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে তিশার বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাই তিশা ও মায়া মিলে তিশার বাবাকে কনভিন্স করে যাওয়ার জন্যে। কারণ বিয়ের পরে তো আর বন্ধুদের সঙ্গে এভাবে কোথাও যাওয়া হবে না। পরে তিশার বাবা যাওয়ার অনুমতি দেন।
তিশা ও মায়ার সঙ্গে বাজি ধরে নাইম বিদেশি এক তরুণীর সঙ্গে খাতির জমিয়ে ফেলে। তা দেখে মায়া মজা পেলেও তিশা রেগে যায়। নাইম কেন বিদেশি মেয়েদের সঙ্গে ফ্ল্যার্ট করে? নাইমের অকপট জবাব, সে বিদেশি মেয়ে বিয়ে করে বিদেশে চলে যাবে। ধনী হবে। তিশার তখন পাল্টা প্রশ্ন ধনী হয়ে কি হবে? নিজের উপার্জনে ধনী হলে সুখ পাওয়া যায়। অন্যের ধনে পোদ্দারি করে সুখ আসে না।
এদিকে তিশাকে সারপ্রাইজ দিতে আসে হবু বর জনি। তাকে দেখে তিশা অবাক হয়। একইসঙ্গে রেগে যায়। কারণ সে জনিকে এখানে আশা করেনি। তাই একটু মিসবিহেভও করে। সে এসময়টা বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে এসেছিলো এটা জনি বুঝতে পেরে অপমানিত হয়ে চলে যায়।
এমনই গল্পে আজ শনিবার (২০ জুলাই) রাত ৮:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত হবে টেলিফিল্ম 'সবার একটা গল্প থাকে'। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। অভিনয়ে সজল, অপর্না, কল্যান কোরাইয়া, মাহা ও একটি বিশেষ চরিত্রে অর্ষা।