বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আটজন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানের পরপরই তাদেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএমডিএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর আদেশে আটজন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দেওয়া হয়। আগামী রোববারের (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যে তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শামসুল হোদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মো. আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. তরিকুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, রাজশাহীর পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাহাত পারভেজ ও দুর্গাপুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুকুর খননে প্রশিক্ষণ নিতে বিএমডিএ’র একটি প্রকল্পের ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফর যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। এর পরপরই বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন দুদক। অভিযানে প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ৭ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক কর্মকর্তারা।