খুলনায় কাউন্টারে মিলছে না ট্রেনের টিকিট, দুদকের অভিযান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুদকের অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দুদকের অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অনলাইনে যাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা রেলস্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকিট কালোবাজারে বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে ২৪২টি টিকিটসহ কালোবাজারি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন খুলনা রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদী।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের সার্ভার রুমে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মকর্তারা ৩ টি টিমে ভাগ হয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল আহসান।

বিজ্ঞাপন

উপ-পরিচালক নাজমুল আহসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদির নেতৃত্বে একটি চক্র সার্ভারে ভিআইপিদের নামে টিকিট অটো ব্লক রেখে যাত্রীদের টিকিট সঙ্কট দেখিয়ে পরে ব্লক করা টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করে। অভিযানের সময় ঈদের পরে ১৪ আগস্টের মোট ২৪২টি ব্লক করে রাখা টিকিট পাওয়া যায়। যার মধ্যে এসি ২২টি এবং নন এসি ২২০টি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565191234699.jpg

একই সঙ্গে স্টেশন মাস্টার মানিক লাল সরকারের বিরুদ্ধেও রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত স্টাফদের পেনশন গ্রহণ বাবদ জনপ্রতি ১০০ টাকা হারে উৎকোচ নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুদকের অভিযানের কথা জানতে পেরে বুকিং সহকারী মেহেদী স্টেশন থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে ধরে আনা হয়। ক্ষমা প্রার্থনা করেও মুক্তি মেলেনি বুকিং সহকারী মেহেদীর। তাকে রেল কর্তৃপক্ষ শোকজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা রেলস্টেশনের অভিযুক্ত প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদির বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে স্টেশন মাস্টার মানিক লাল সরকারের বিরুদ্ধেও রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত স্টাফদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকায় সুপারিশ করা হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565191300281.jpg

দুদকের সহকারী পরিচালক শাওন মিয়া বলেন, ‘ঈদের পরের প্রায় প্রতিদিনের টিকিট এভাবে কালোবাজারি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা রেল স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করি এবং হাতেনাতে এ সকল কালোবাজারিদের ধরতে সক্ষম হই।

অপর সূত্র জানান, স্টেশন মাস্টার মানিক লাল সরকারও টিকিট অটো ব্লক রেখে কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন খুলনা স্টেশনের নানা অনিয়মে যুক্ত রয়েছেন।