ঈদে পশ্চিমাঞ্চল রেলে যুক্ত হচ্ছে ২৭ বগি, ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ফিরতি টিকিট নিতে ভিড় নেই যাত্রীদের

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ফিরতি টিকিট নিতে ভিড় নেই যাত্রীদের

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে এবার স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু না হলেও আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ২৭টি বগি। সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলরুট পুরোপুরি এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। বলা চলে, মাত্রই শুরু করা হয়েছে। ফলে ঈদে বিশেষ যুক্ত করে খুব একটা সুবিধা পাবেন না যাত্রীরা। ফলে যে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যাতায়াত করছে, সেগুলোতে অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলের রুটের চেয়ে ঢাকা ও রাজশাহী থেকে খুলনাগামী ট্রেনে বেশি অতিরিক্ত বগি যাবে।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সোমবার (০৫ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আগামী ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। স্টেশন থেকে ৫০ শতাংশ এবং অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফিরতি টিকিট কিনতে স্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায় নি। টিকিট প্রত্যাশীরা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট নিয়ে ফিরে গেছেন।

ঈদ ১২ আগস্ট হওয়ায় অনেকে ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিটের তেমন চাহিদা কম বলে জানান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সকাল থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। স্টেশনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করছি আমরা। তবে এখনও (বিকেল সাড়ে ৩টা) ১৪ আগস্টের টিকিট বিক্রি করে শেষ করতে পারি নি। বেশ কিছু টিকিট রয়ে গেছে।’

তবে মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) থেকে ফিরতি টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিমের। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা ১৫ আগস্টের ফিরতি টিকিট দেব। বুধবার (৭ আগস্ট) ১৬ আগস্টের, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ১৭ আগস্টের এবং শুক্রবার (৯ আগস্ট) ১৮ আগস্টের টিকিট দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ফিরতি টিকিটের বেশি চাহিদা হতে পারে।’

এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সোমবার (০৫ আগস্ট) সকাল থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তৎপর রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি পুলিশ ও অতিরিক্ত র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।