শেকড়ের টানে পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ভিড়
কলকাতায় সম্পন্ন হলো তিন দিনব্যাপী ৩১তম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার।
রোববার (১৪ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত মেলায় ভিন্ন স্বাদের পর্যটনের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছিলো বাংলাদেশ।
দেশটির মিনিস্ট্রি অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের ডেপুটি সেক্রেটারি অঞ্জনা খান মজলিস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, এখানকার বেশিরভাগ মানুষ বাংলাদেশ সম্বন্ধে সেভাবে জানেন না। বাংলাদেশে দর্শনীয় স্থান কি কি আছে বা কোথায় কোথায় ঘোরা যায়, সেই বিষয়গুলো আমারা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের কালচার যেমন ভাষা আন্দোলন, নববর্ষ উদযাপন এমনকি আমাদের ইলিশ এসব বিষয়ে কলকাতার মানুষ আগ্রহ বোধ করছে। জানার পর প্ল্যানিং করছে কি ভাবে আসবে বাংলাদেশে।
এখানে ১২ জন ট্যুর অপারেটর এসেছে আমরা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি এখানকার বেশিরভাগ মানুষের শেকড় বাংলাদেশে, ফলে অনেকের পৈতৃক ভিটে আছে দেশে। তারা বাংলাদেশকে যেমন দেখতে চায় সঙ্গে নিজেদের জন্মস্থানও দেখতে চায়। সেই ভাবেই আমাদের প্যাকেজগুলো করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে অনেকে। ভালো লাগছে, বেশ সাড়া পাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বাংলাদেশের প্রতি আলাদা আকর্ষণ রয়েছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছিল দিনাজপুরের বিখ্যাত কান্তজীর মন্দিরের আদলে। প্যাভিলিয়নে ১১টি বেসরকারি স্টল ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের ট্যুরিজম বোর্ড সহ ১২টি স্টল স্থান পেয়েছিল। পর্যটন মেলায় কলকাতাবাসীর কাছে আকর্ষণীয় বিষয় হলো একই ভাষায়, একই গন্ধে বিদেশ ভ্রমণ। বুকিংও পেয়েছে প্রচুর। পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে আসার পর নতুন প্রজন্মকে সেই স্বাদ পাওয়ানোর ইচ্ছা অনেকের থাকলেও, সহযোগিতা পাচ্ছিলো না। সেই সুবিধা করে দিল বাংলাদেশ থেকে আসা ট্যুর কোম্পানিগুলো।
শুক্রবার (১২ জুলাই) মেলা শুরু হয়ে শেষ হয় রোববার (১৪ জুলাই)। এবারের মেলায় ৪৩০টি স্টলে ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ১৪টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। কলকাতাবাসীর কাছে বাংলাদেশ এক আবেগের বিষয়। সে কারণেই বাংলাদেশ সম্বন্ধে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খোজ খবর নিচ্ছেন অনেকেই। অনেকে প্লানও করে নিয়েছে এবার পুজোর ছুটির ডেসটিনেশন বাংলাদেশ।