ঝড়ের তীব্রতা না থাকলেও দাপট থাকবে, ক্ষতি হবে রাজ্যে
ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের গতি নিয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ফণী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায় সমস্ত বিদ্যুৎ সংযোগ। এরই জেরে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুক্রবার (৩ মে) গভীর রাত থেকে শনিবার (৪ মে) ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণী ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে ঝড়।
উপকূলে দমকা ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১৫ কিলোমিটার হতে পারে। কলকাতাসহ দক্ষিণের জেলাগুলোর অন্য অংশে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ থাকবে ঝড়ের। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ঝড়ের তীব্রতা রাজ্যে বেশি না হলেও দাপট থাকবে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। যা ঝড়ের দাপট থেকে কোনো অংশে কম নয়। কারণল, তীব্রতা না থাকলে দাপট বজায় থাকায় ক্ষতি হবে ফসলসহ আম লিচুর মতো মৌসুমি ফলের। পাশাশাশি ক্ষতির মুখে পড়বে মাটির তৈরি বাড়ি ও পুরনো পাকা বাড়ি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলাতে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি আছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের স্থায়ীত্বে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ইতোমধ্যে রাজ্য প্রশাসন-ট্রাম, রেল, বিভিন্ন বন্দরসহ উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আটকানোর জন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি একগুচ্ছ জরুরি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।