গোটা ভারতের নজর আজ পশ্চিমবঙ্গে

  • কলকাতা ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরোনো ছবি

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরোনো ছবি

দুই হেভিওয়েট স্টার নির্বাচনী ভাষণ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের জনমসাবেশে। এক, লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই, ভারতের অন্যতম প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, রাজ্যে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এই হেভিওয়েটেদের জনসমাবেশে উত্তেজনার পারদ।

নরেন্দ্র মোদি, নজরবিহীনভাবে বুধবার (৩ এপ্রিল) দু’টি জনমাবেশ করবেন রাজ্যে। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে হেভিওয়েট স্টারের জনসমাবেশ করলে সমগ্র রাজ্যে থেকে জনগণ জড়ো হয় সেই স্থানে। কিন্তু সেই প্রথা ভেঙে নরেন্দ্র মোদি দু’টি জনসমাবেশ করবেন।

বিজ্ঞাপন

প্রথমটি শিলিগুড়িতে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় রাজ্যের উত্তরবঙ্গবাসীদের জন্য ভাষণ দেবেন এবং অপরটি কলকাতার বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিকাল ৩টার জনসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন মোদি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ লোকসভার নিরিখে মোদি হাওয়াতেও কলকাতার গড়ের মাঠে আশামতো জমায়েত করতে পারেনি বিজেপি। সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনে বিজেপির কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ- ব্রিগেডের মাঠ ভরাট করা।

বিজ্ঞাপন

সে উদ্দেশ্যে রাজ্যের ছয় হাজার বাস ভাড়া করে কর্মী-সমর্থকদের কলকাতার ব্রিগেডমুখী করছে গেরুয়া বাহিনী। প্রথমবার, প্রথা ভেঙে চারটি লোকাল ট্রেনও ভাড়া নিয়েছে তারা। বাস ও ট্রেন ভরাট করে সমর্থক আনলে সংখ্যাটা পাঁচ লাখ ছাড়াবে শুধু কলকাতায়।

শিলিগুড়ির হিসাবটা ভিন্ন। তবে বিজেপি যে পূর্ব ভারতকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য পাখির চোখ করেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক রাজ্যে কোনো প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টার ফারাকে দু’টি বৃহৎ জনসমাবেশ করার রেকর্ড নেই। সেদিক থেকে মোদির জনসমাবেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং মোদির ভাষণে মমতাই যে টার্গেট হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

অপরদিকে তৈরি মমতাও। বুধবার শিলিগুড়ির সভা সেরে যখন মোদি কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হবেন, ততক্ষণে কোচবিহারের দিনহাটায় তাঁর জবাব দিতে শুরু করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবারের ভোটযুদ্ধে সম্মুখ সমরে মোদি-মমতা এই প্রথম। সেই দ্বৈরথের আনুষ্ঠানিক সূচনা দুপুর ১টায়। তাই আগ্রহের পারদ চড়ছে গোটা দেশেও।

অবশ্য এর আগে, জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রে বিকল্প ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকার’ গড়ার লক্ষ্য তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রাজ্যে ৪২টি লোকসভা আসনের সবক’টি জেতার টার্গেট দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে দেশের আর কোনো বিরোধী আঞ্চলিক দল নেই, যারা নিজের রাজ্যে একক শক্তিতে ওই সংখ্যক আসনকে নিশানা করতে পারে। স্বভাবতই বিজেপির বিরোধী শিবিরের নেত্রী মমতাই।

অবশ্য মমতা মনে করেন, মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোদির সভার প্রসঙ্গ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উড়িয়ে দেন তিনি। কোনো মতেই মোদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নরাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে পশ্চিবঙ্গের নিরিখে এরকম চ্যলেঞ্জ ও পাল্টা চ্যলেঞ্জেরে জনসমাবেশ এর আগে দেখেনি রাজ্যবাসী।