দুই হাজার হজযাত্রীর হজে গমন অনিশ্চিত

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আগে থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কতিপয় হজ এজেন্সির খামখেয়ালি ও অব্যবস্থাপনায় শেষ পর্যন্ত হজ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ভজঘট তৈরি হলোই। যার ফলে প্রয়োজনীয় যাত্রী না পাওয়ায় বুধবার (০১ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ নিয়ে চলতি হজ মৌসুমে বিমানের বাতিলকৃত ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫-এ।

হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় শেষ পর্যায়ে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়, হজ অফিস ও বিমান কর্তৃপক্ষকে অযাচিত ঝামেলা পোহাতে হয়। এদিকে প্রায় ৭০ হাজারের মতো হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছলেও এখন পর্যন্ত বিমানের ছয় হাজার হজ টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে। যা হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে। সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে চলতি হজ মৌসুমে কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১২টি এজেন্সি। তাদেরকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও এসব এজেন্সি তাদের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করেনি কিংবা ভিসা সংগ্রহের জন্য মোফা সেন্ট করেনি।

বিজ্ঞাপন

১২ এজেন্সির অধীনে প্রায় ২ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের ভিসা কার্যক্রম শুরু না করায় তাদের হজে যাওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান এই নোটিশ জারি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বার্তা২৪.কে বলেন, এই ১২টি হজ এজেন্সি এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণে এ বছর দুই সহস্রাধিক হজযাত্রীর হজে গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অভিযুকক্ত ১২টি হজ এজেন্সি হলো- মুনমুন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর ২০৬), চারুলতা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৭১৬), ক্রাউন ফ্যাসিলিটিজ (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৭২৪), ডিন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল (হজ লাইসেন্স নম্বর ৭৪১), জে ওয়াই ওভারসিজ অ্যান্ড হজ কাফেলা (হজ লাইসেন্স নম্বর- ৮৪৬), মিনার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১০৩৩), মোকাররম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নম্বর ১০৪৫), এন আল আমিন হজ কাফেলা (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১০৬৬), রেঞ্জার ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১১১৬), সাফোনি (হজ লাইসেন্স নম্বর ১১৪৭) ও সাগর এভিয়েশন (হজ লাইসেন্স নম্বর- ১১৪৯)।

হজ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ৩১ আগস্ট তাদের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়। কিন্তু এসব এজেন্সির মালিক বা তাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। এই ১২ হজ এজেন্সির মালিকরা জাতীয় ওমরাহ ও হজ নীতিমালার পরিপন্থী কাজ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।