২০৭ সদস্যের ‘হজ চিকিৎসক দল’, বাড়বে সেবার পরিধি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কার হজ ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা হাজীদের একাংশ, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার হজ ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা হাজীদের একাংশ, ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অসুস্থ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ২০৭ সদস্যবিশিষ্ট হজ চিকিৎসক দল গঠন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজ চিকিৎসক দলে ৯০ জন চিকিৎসক, ৭৫ জন নার্স-ব্রাদার, ৩৪ জন ফার্মাসিস্ট ও ৮ জন ওটি এসিস্ট্যান্ট-ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান রয়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

যশোর মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ মহিদুর রহমান প্রথম দলের দলনেতা ও সেনাসদর চিকিৎসা পরিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাকির হাসান, এএমএড, এমপিএইচ দ্বিতীয় দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

চিকিৎসক দলের সদস্যরা ২ জুলাই থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। সেখানে তারা মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফা ও জেদ্দায় দায়িত্ব পালন করবেন।

হজ চিকিৎসক দলের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে অবস্থানকালে চিকিৎসক দলের সদস্যরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবেন। দলনেতা ও উপদলনেতার নির্দেশনা অনুসারে দায়িত্ব পালন করবেন।

চিকিৎসক দলের সদস্যদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও সহায়তাকারীরা হজপালন করার সুযোগ পাবেন না। তারা হজের দিনগুলোতে দলনেতার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ হজ মেডিকেল টিম মক্কায় অবস্থান করে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এছাড়া প্রজ্ঞপনে হজ চিকিৎসক দলের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এর অন্যতম হলো- চিকিৎসক দলের কোনো সদস্য তার দায়িত্ব পালনকালে কোনোভাবেই স্বামী-স্ত্রী, সন্তান কিংবা আত্মীয়দেরকে সঙ্গে নিতে পারবেন না। চিকিৎসক দলের সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন এবং যেকোনো সময় হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে বাধ্য থাকবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মক্কায় চারটি হেলথ ক্লিনিক থাকবে। আর মদিনায় থাকবে দুইটি। এছাড়া মিনা ও আরাফার ময়দানে এবার প্রথমবারের মতো হেলথ ক্লিনিক স্থাপন করা হবে।

মক্কা ও মদিনার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে হজযাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, জটিল রোগীদের সৌদি হাসপাতালে প্রেরণ, ভর্তি রোগীদের তত্ত্বাবধান, মৃত্যুবরণকারী হজযাত্রীদের দাফন ও অসুস্থ হজযাত্রীদের বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে।