ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাব রাজ্যে ভারী বৃষ্টিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রোববার (১৮ আগস্ট) সারদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পর যমুনাসহ অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজ্যটির শিমলা, সোলান, কুল্লু ও বিলাসপুর জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের ঘটনায় কালকা ও শিমলার মধ্যে ট্রেন ও বাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এদিকে হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু ও ৯ জন আহত হয়েছেন। মৃত দুজন নেপালি নাগরিক বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশে বিদেশি পর্যটকসহ ২৫ জন আটকে পড়েন। দুই দিন খাবার ও আশ্রয়বিহীন অবস্থায় আটকে থাকার পর রোববার তাদের উদ্ধার করা হয়।
রাজ্যে সরকারের কর্মকর্তারা জানান, উত্তরকাশী জেলার মোরি ব্লকে হড়কা বানে কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ভেসে যায়। দেরাদুন জেলায় গাড়ি নদীতে পড়ে এক নারী ভেসে গেছে ও পাঞ্জাবে বাড়ির ছাদ ধসে ৩ জন নিহত হন।
ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষ এখানে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।