ভারতের নয়াদিল্লি থেকে: নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়ালে সযত্নে রাখা আছে 'বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা'। ২০১১ সালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে মরণোত্তর ওই সম্মাননা দেওয়া হয়।
এই সম্মাননা স্বারককে ঘিরে মেমোরিয়ালে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কর্নার’।
নয়াদিল্লির ১নং সাফদার জং রোডের এই বাড়িতে বাস করতেন দেশটির প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালে ৩১ অক্টোবর তাঁর নিজ দেহরক্ষী এই বাড়িতে তাকে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর পর এখানে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই মেমোরিয়াল প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এটি পরিদর্শন করতে কোনো টিকিটও লাগে না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে ২৫ জুলাই বাংলাদেশের সরকার ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’ প্রদান করে। রাষ্ট্রীয় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে সেই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া মরনোত্তর এই সম্মাননা যেকোনো বিদেশি নাগরিকের জন্য সর্বোচ্চ সম্মাননা। ওই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, বাংলাদেশকে সামরিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইন্দিরা গান্ধীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।