নেতাজির পাশে প্রধানমন্ত্রী মোদী  

  • মায়াবতী মৃন্ময়ী,  অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম  
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নেতাজির পাশে প্রধানমন্ত্রী মোদী   

নেতাজির পাশে প্রধানমন্ত্রী মোদী  

 

 

বিজ্ঞাপন

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে সুভাষ বসুকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার জন্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেসকেও একহাত নিয়েছেন তিনি।

রোববার (২১ অক্টোবর) নেতাজি পরিচালিত আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজধানী দিল্লির ঐতিহ্যবাহী লালকেল্লায় প্রথা ভেঙে উত্তোলন করেছেন জাতীয় পতাকা। ভাষণ দিয়েছেন জাতির উদ্দেশ্যে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে নেতাজির বিষয়টিই হতে চলেছে বড় একটি রাজনৈতিক ইস্যু। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন নেতাজির বংশধর চন্দ্র বসু। তিনি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। পদাধিকার বলে তিনি রাজ্যের সহ সভাপতিদের মধ্যে একজন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে দেশে নিজেদের পরিবারের একনায়কতন্ত্র স্থাপন করেছিল।” ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পরে অনেক বিপ্লবী দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস তাঁদের উপযুক্ত সম্মান দেয়নি বলে দাবি করেছেন চন্দ্র বসু।

জহরলাল নেহরু সহ অনেক কংগ্রেস নেতা সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন চন্দ্র বসু। তাঁর কথায়, “১৯৪৪ সালেই আজাদ হিন্দ ফৌজ দিল্লির লালকেল্লায় এসে তেরাঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। কিন্তু নেহরু এবং কিছু কংগ্রেস নেতা ব্রিটিশদের সাহায্যে আজাদ হিন্দ সরকার এবং আজাদ হিন্দ ফৌজকে রুখে দিয়েছিল।”

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়েও জহরলাল নেহরুকে আক্রমণ করেছেন চন্দ্র বসু। তাঁর কথায়, “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু জহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন দেশ ভাগের পরে।” এই ইতিহাস দেশের যুব সমাজের জানা উচিত বলে দাবি করেছেন নেতাজীর বংশধর চন্দ্র বসু।

প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতাজিকে নিয়ে কংগ্রেসকে যে আক্রমণ করেছেন তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশ্বিনী কুমার। তাঁর মতে, “সামনে ভোট আসছে বলেই এই সব কথা বলছেন তারা। এগুলোর অনেকটাই ভুল এবং সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমি অভিযোগ স্বীকার করতে পারছি না।”