#মি টু’ আন্দোলনে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর পদত্যাগ করেছেন। তবে এ আগে বিরুদ্ধে ওঠা এ যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এম জে আকবর। এমনকি অভিযোগ তোলায় মানহানির মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন অভিযোগকারীর নারী সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এম জে আকবর বুধবার (১৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিনি পদত্যাগ করছেন বলে জানান। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য পদত্যাগকেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন ৬৭ বছর বয়সী এই মন্ত্রী।
পদত্যাগপত্রে আকবর লিখেছেন, যেহেতু আমি ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে বিচার চেয়েছি, তাই বিচারের স্বার্থে আমি আমার কার্যভার (পড়ুন, মন্ত্রিত্ব) থেকে ইস্তফা দেওয়াটাই সমীচিন মনে করছি। আমার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমি ব্যক্তিগত ভাবেই আইনি লড়াই লড়তে চাই। তাই আমি বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’
যদিও পদত্যাগের আগে করা মামলার এজহারে বলেছিলেন, সাংবাদিক প্রিয়া রামানির তাঁর সুনাম নষ্ট করার জন্য ভেবেচিন্তে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর সম্পূর্ণ মিথ্যা এই অপপ্রচার চালিয়েছেন।
গত ৮ অক্টোবর আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তিনি টুইট বার্তায় জানান, আকবর তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে বছরখানেক আগে তিনি এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর বনাম সাংবাদিক প্রিয়া রামানির লড়াইয়ে পাল্লা ভারী হচ্ছিল প্রিয়ার। আরও ১২ নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এম জে আকবরের পদত্যাগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লেখে দেশটির নারী সাংবাদিককের একটি সংগঠন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাশালীরা মানহানির মামলা করে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে থাকেন। এটা আসলে নারীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস মাত্র।’
এরপরেই এম জে আকবরের পদত্যাগ করেন।