সুষমা-কোরেশির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সার্কের মন্ত্রীদের বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের জন্যে একে অপরকে অভিযুক্ত করে। এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতার আগেই বৈঠক ত্যাগ করেন সুষমা।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূলে শেষ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সুষমা স্বরাজ।

আর সুষমা স্বরাজের চলে যাওয়াকে উদ্ধত্যপূর্ণ ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের মেহমুদ কোরেশি।

সুষমা স্বরাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া কিছুতেই আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে কাজ করা সম্ভব না। নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন নানা ঘটনা দিন দিন আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় বেড়েই চলেছে। সন্ত্রাসবাদের মাত্রা একটি আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। শুধু তাই নয়, পুরো বিশ্বব্যাপী এই সন্ত্রাসবাদের কারণে মানুষ ভীত।’

পাকিস্তানের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুই দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক আহ্বান করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেন। ভারত সরকার প্রথমে এই বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি দেয়। কিন্তু তার একদিন পরেই জম্মু কাশ্মীরে তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন সেনাবাহিনী সদস্য নিহতের ঘটনার পর এই বৈঠক প্রত্যাখান করে ভারত। তাছাড়া ২০১৬ সালে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত বোরহান ওয়ানির নামে পাকিস্তানে স্ট্যাম্প ইস্যু করাও এই বৈঠক বাতিলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।

ভারতকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিন এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি মাত্র দেশের আচরণই হতাশাজনক।’

ভারত কর্তৃক আলোচনা সভা বাতিল হওয়ার পর তা হতাশাজনক বলে টুইট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘শান্তির জন্য আমরা যে আলোচনা সভার আহ্বান করেছিলাম, তাতে ভারত যেভাবে নেতিবাচক ও ঔদ্ধত্য দেখালো তা সত্যিই হতাশাজনক।’

বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই নতুন দৃষ্টান্ত নয়। এর আগে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বৈঠক ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।