ঈদকে ঘিরে অস্থির মসলার বাজার

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অস্থির হয়ে ওঠে গরম মসলার বাজার। মূলত হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। চলতি বছরও তার ব্যতয় ঘটেনি। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। এই দাম বৃদ্ধিকে ক্রেতারা আগুনের সঙ্গেই তুলনা করছেন।

সোমবার (১৩ আগস্ট) আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কারওয়ান বাজারে গরম মসলা কিনতে এসেছিলেন রফিক আহমেদ। তিনি বার্তা২৪.কম’র এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আগামী ২২ তারিখে কোরবানির ঈদ। আমি মগবাজারে থাকি। মনে করলাম কারওয়ানবাজার থেকে গরম মসলা কিনলে হয়তো দামে সাশ্রয়ী হবে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534161852907.jpg

কিন্তু এখানে এসে দাম শুনে আমি অবাক। মনে হচ্ছে গরম মসলার দামে আগুন লেগেছে! সব ধরনের গরম মসলাম দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০-১০০ টাকা। ক্রেতাদের জিম্মি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।’

বাজার ঘুরে দেখা যায়, জিরা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, কাঠবাদাম, পোস্তদানা, ধনিয়া, আদা, রসুন, পেয়াজসহ বেড়েছে সব মসলার দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুনের কেজি মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, আমদানি রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, শুকনা মরিচ ও হলুদ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২১০ টাকা, আমদানি আদা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, জিরা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৬০ টাকা, দানরুচিনি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, এলাচ মানভেদে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা প্রতি কেজি, ধনে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, তেজপাতার প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া ৫৮০ টাকা কেজি দরের জয়ফল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। পোস্তবাদাম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি ও গোল মরিচের কেজি ৪৮০ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534161871301.jpg

গরম মসলার দাম বাড়লেও বিষয়টি মানতে নারাজ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কারওয়ানবাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাবুল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বাজারে তো ক্রেতাই নেই, আমরা দাম বাঁড়াবো কেমন করে? আগেও যে দাম ছিল একই সেই দামে মসলা বিক্রি করছি। ক্রেতারা সব সময় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন, যা সত্য নয়।’

ইয়াসিন ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ সুমন বলেন, ‘ঈদ এলেই মসলার দাম কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। কিন্তু প্রতিবার ঈদে একই দাম থাকে। গত ঈদেও মসলার দাম যা ছিল এখনও সেটাই আছে।’

ছবি: সুমন শেখ