বিদেশি চ্যানেল-ফেসবুক-ইউটিউবের বিজ্ঞাপনে ১৫% ভ্যাট আরোপ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ওপর ১৫ শতাংশ ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হবে।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুক, ইউটিউব, ভাইবার, মেসেঞ্জার, ইয়াহু ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এনবিআরের প্রথম সচিব হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজস্ব সুরক্ষা ও আইনানুগ রাজস্ব আদায়ের  স্বার্থে অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে বেতার- টেলিভিশন ও ইলেক্ট্রনিক সেবা ( অর্থাৎ ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, মেসেঞ্জার,ভাইভবার, হোয়াটসআপ ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবহার করে প্রদত্ত মেসেজ, ভয়েস, বিজ্ঞাপন ও অনুরুপ যে কোনো সেবা) সরবরাহকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে মূসক এজেন্ট নিয়োগ করত; মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করতে লিখিতভাবে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

অর্থাৎ উপরে উল্লেখিত সকল প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপন করতে হবে অথবা এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে তাদের মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো আইন না মানলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। সেক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের সাইট বন্ধ করে দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়মন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইয়াহু, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এবং সরকার অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট ট্রান্সফারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই পুরো টাকাটাই যাচ্ছে অবৈধ চ্যানেলে।

নন-ব্যাংকিং চ্যানেলে এ টাকা পরিশোধ হওয়ায় এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি এর বিপরীতে কোনো রাজস্বও পায় না সরকার। তাই ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর কাছ থেকে ভ্যাট নিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।