তিন দিনব্যাপী ‘স্বর্ণ মেলা-২০১৯'র প্রথম দুদিনে মোট ৫১ কোটি টাকার সোনা, রূপা ও ডায়মন্ড বৈধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৬৬ জন ব্যবসায়ী ভরি প্রতি এক হাজার টাকা করে কর দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করেছেন। এছাড়া ডায়মন্ডের ভরি প্রতি কর হচ্ছে ৬ হাজার ও রুপার ৫০ টাকা।
বিষটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'স্বর্ণ মেলায় কেবল ঢাকাতেই ২৫০ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ৫০ কোটি টাকার বেশি স্বর্ণ বৈধ করেছেন। এর মধ্যে সোমবার ১৭৮ জন ২৫ কোটি টাকার বেশি দিয়েছেন।'
মেলার প্রথমদিন রোববার (২৩ জুন) বাজুস সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ ৭২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি টাকার স্বর্ণ বৈধ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর ও প্রশাসন) কানন কুমার রায়।
তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'মেলায় ব্যবসায়ীদের সাড়া পেয়েছি। প্রথমদিন ব্যবসায়ীরা কর দিতে নয়, বুঝতে এসেছেন। অনেকে ফরম নিয়েছেন। আগামী দুদিন প্রত্যাশা অনুসারে মেলায় কর দেবেন ব্যবসায়ীরা।'
আরও পড়ুন: ২৫ কোটি টাকার স্বর্ণ বৈধ করেছেন ব্যবসায়ীরা
এ ছাড়াও বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে ৬৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মোট ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার স্বর্ণ বৈধ করেছেন। এনবিআর ও বাজুসের যৌথভাবে আয়োজিত মেলায় ৪০০ কোটি টাকা কর আহরণ হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে।
২৩ জুন শুরু হওয়া এ মেলা চলবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দেশের আট বিভাগে এই স্বর্ণ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, 'তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রফতানির উদ্দেশে আমদানি করবেন, তাদের বন্ড সুবিধা দেওয়া হবে।'
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'যারা বন্ড সুবিধা পাবেন, তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রফতানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না।'
সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে এক গ্রামও বেশি আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে পারবে না বলে জানান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।