সুমিতমো-বেজা চুক্তি অনুমোদনের জন্য উঠছে বুধবার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হবে জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে দেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়বে। জাপানি উদ্যোক্তারা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।

বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সভা কক্ষে অথনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে জাপানি সুমিতমো করপোরেশন ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মধ্যে যৌথ উদ্যোগ চুক্তি অনুমোদনের জন্য উঠবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ চূড়ান্ত করেছে বেজা। অবশিষ্ট ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বেজা কার্যালয়ে ‘জাপান ইকোনমিক জোনের জন্য অধিগ্রহণ করা ৫০০ একর জমির কাগজপত্র বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জাপান ইকোনমিক জোনের ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়েছে জাপানের সুমিতমো করপোরেশন। বাংলাদেশ সরকার, জাপান ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইএফসি এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশীদার হবে।

এ প্রসঙ্গে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে জাপানের সুমিতমো করপোরেশন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত হয়েছে। ৫০০ একর জমি বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হবে। পরবর্তীতে আরও ৫০০ একর জমি দেওয়া হবে। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপের জমির কাগজপত্র চূড়ান্ত হবে।’

‘পরবর্তীতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী চুক্তির মেয়াদ বাড়বে। প্রকল্পে বেজার ২৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে। বাকি ৭৬ শতাংশের অংশীদার হবে বিনিয়োগকারী সুমিতমো করপোরেশন। এ সংক্রান্ত যৌথ উদ্যোগ চুক্তি হয়েছে।’

জাপানের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান সুমিতমো ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে এ ধরনের প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশেও রয়েছে জাপানের ২৫০টির বেশি কোম্পানির কার্যক্রম। নতুন করে সুমিতমো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় যুক্ত হলে দেশে জাপানি বিনিয়োগে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ৫ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য দুই হাজার ৫৮২ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ৫০ বছরের জন্য জাপানের সুমিতমোকে এই জমি দেওয়া হবে।